ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক জেএমবি সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২২
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক জেএমবি সদস্য গ্রেফতার মো. সানোয়ার হোসেন

ঢাকা: নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ইসাবা গ্রুপের (সামরিক শাখা)  সদস্য ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আ. রউফকে (৪৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে এটিইউ’র মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসলাম খান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার সানোয়ার হোসেন ওরফে আ. রউফ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নজিপুর পৌরসভার চাঁদপাড়া গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে। তিনি নওগাঁর পত্নীতলা থানার ছোট চাঁদপুর গ্রামে আত্মগোপন করে রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন। পাশাপাশি ভেড়াও লালন-পালন করে আসছিলেন।

এসপি মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এটিইউ সদস্যরা গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার নজিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গঠনের পর থেকেই এটিইউ গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি পলাতক, সাজাপ্রাপ্ত, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সদস্যদের গ্রেপ্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছুদিন ধরে চাপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার একটি মামলায় (নাম্বার-১৬) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেনের ওপর নজরদারি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতার মো. সানোয়ার হোসেন ২০০০ সালের পরে শায়েখ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভুক্ত হন। তখন তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধানের দায়িত্ব পালন করতেন। ২০০৭ সালে ২৯ মার্চ শায়েখ আব্দুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হলে বেশ কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হন। পরে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে এবং নিজেদের আন্তঃকোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবির স্বঘোষিত আমির সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা এবং তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে দেয়া হয়। পরে গ্রেফতার আ. শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেওয়া তথ্য মতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতার সানোয়ার হোসেন (৪৪) ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করে যাচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় দুটি গ্রেফতারি পরোয়না মূলতবি আছে। তাছাড়া চাপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানার একটি মামলায় (মামলা নম্বর-৫) তিনি অভিযুক্ত আসামি।

গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় গ্রেফতার সানোয়ারসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২২
এসজেএ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।