বরিশাল: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মা-ছেলেসহ তিনজনকে মারধর এবং মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান ও তাদের সমর্থকদের মারধরে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মামলার বাদী রুমা বেগমের ছেলে নিলয় হাওলাদার (১৭) এবং দেবর তরিকুল ইসলাম (২৯)।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা জিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। একাধিকবার তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
আহত নিলয় হাওলাদার জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মা ও চাচাকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজে যাচ্ছিলেন তিনি। একটু পর কলেজ সংলগ্ন মন্দিরের সামনে পৌঁছালে ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু তাদের পথরোধ করেন এবং ছাত্রলীগ নেতা জিয়া তাদের কেউ হয় কিনা জানতে চান।
এ সময় জিয়া নিলয়ের ফুফাতো ভাই বললে সঙ্গে সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান লাথি মেরে মোটরসাইকেল থেকে তিনজনকে মাটিতে ফেলে দেন। একটু পর উঠে দাঁড়ালে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পলাশ ও রুবেলসহ ৯-১০ জন তাদের পিটিয়ে জখম করে। নিলয়কে রক্ষায় মা ও চাচা এগিয়ে এলে তারাও আহত হন।
নিলয়ের মা রুমা বেগমের অভিযোগ, তার ছেলেকে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর পা ধরে প্রাণভিক্ষা চাইলে তিনি রুমা বেগমকে লাথি মারেন এবং টেনে হিঁচড়ে বোরখা ছিড়ে ফেলেন। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলটি ভ্যানে তুলে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শতাধিক মানুষ এ দৃশ্য দেখলেও চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেননি।
তবে মারধর ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, হামলা-মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুনেছি নববর্ষের শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া এক ছাত্রীকে বখাটে নিলয় উত্যক্ত করেছে। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে মারধর করে।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিলয়ের মা রুমা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বাংলাদেশ সময়:১৮৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
এমএস/এনএসআর