ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের আগে বকেয়া বেতনসহ পূর্ণ বোনাস পরিশোধের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
ঈদের আগে বকেয়া বেতনসহ পূর্ণ বোনাস পরিশোধের দাবি

ঢাকা: ঈদের ছুটির আগে সমস্ত বকেয়া বেতন, পূর্ণ বোনাস পরিশোধ, দ্রব্যমূল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মহার্ঘ্য ভাতা ও নিত্যপণ্যের রেশন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে নেতারা বলেন, উৎসব বোনাস শ্রমিকের অধিকার। কিন্তু প্রতিবছর ঈদের আগে শ্রমিকদের ন্যায্য বোনাস থেকে বঞ্চিত করতে বিভিন্ন টালবাহানা করা হয়। শ্রম আইন অধিকারের সর্বনিম্ন সীমানা হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কথা অথচ বোনাস সর্বোচ্চ কতটুকু হবে তা উল্লেখ করলেও নিম্নসীমা নির্দিষ্ট না থাকায় শ্রমিকদের ন্যায্য বোনাস থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ নেওয়া হয়।  

নেতারা এক মাসের মূল মজুরির সমান বোনাস ও এপ্রিল মাসের পূর্ণ বেতন ঈদের ছুটির আগেই পরিশোধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, আগামী ২৭ এপ্রিলের পর থেকে মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো ছুটি থাকবে তাই এপ্রিল মাসের পূর্ণ বেতন শ্রমিকদের প্রাপ্য।

নেতারা বেতন-বোনাস পরিশোধের পাশাপাশি ঈদের ছুটিতে শ্রমিকদের নিরাপদে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকের প্রকৃত মজুরি প্রায় অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় শ্রমিকদের জীবনমানের মারাত্মক অবনমন হয়েছে। দেশের উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় বাড়ার চিত্রের সঙ্গে শ্রমিকদের জীবনমানের চিত্র সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই শ্রমিকদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের মান ধরে রাখতে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণাসহ স্কপের ৯ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং অন্তবর্তী সময়ে মহার্ঘ্য ভাতা ও নিত্যপণ্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।  

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, নির্বাহী সদস্য এস এম কাদির, সাইফুল ইসলাম শরীফ, এম এ মিল্টন, জামাল হোসেন, রুহুল আমিন সোহাগ, মোহাম্মদ সোহেল, আনিসুর রহমান, আনোয়ার খান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

শ্রমিকদের প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় মালিকদের বহন করতে হবে বলে সাবধান করে দিয়ে নেতারা বলেন, কৃষিভিত্তিক শিল্প আর শিল্পভিত্তিক অবকাঠামো, শ্রমজীবীদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো আর আয় বৈষম্য কমানোর পরিকল্পনা ছাড়া চলমান মাথাপিছু গড় আয় বাড়ার হিসাব শ্রমজীবী মানুষের জীবনমানকে উপহাস করার শামিল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
এসএমএকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।