ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পঞ্চগড় সীমান্তে এবারও বসছে না দুই বাংলার মিলনমেলা

সোহাগ হায়দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২২
পঞ্চগড় সীমান্তে এবারও বসছে না দুই বাংলার মিলনমেলা

পঞ্চগড়: বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি মহামারি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে গত তিন বছর ধরে দেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের সীমান্তে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দুই বাংলার মিলনমেলা হয়নি।  

চতুর্থবারের মতো এবারও বসছে না কাঁটাতারের এ মিলনমেলা।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাতে পঞ্চগড়-১৮ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।  

পঞ্চগড়-১৮ বিজিবির এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২০১৯, ’২০ ও ’২১ সালে পঞ্চগড় সীমান্তে দুই বাংলার কাঁটাতারের মিলনমেলা হয়নি। এবারও হচ্ছে না। সীমান্তে এ মেলা চালুর বিষয়ে একটা দরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে ১০০% প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশ এ বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছে। তাই এবারও বসছে না এ মিলনমেলা। তবে ইনশাল্লাহ আগামীতে এ মেলা বসবে বলে আমরা আশা করছি।

সাধারণত বৈশাখের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন সীমান্তে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতি বছর বাংলা নববর্ষে পঞ্চগড়ের অমরখানা, শুকানি, মাগুরমারি ও ভূতিপুকুর সীমান্তসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টের কাঁটাতারের পাশে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দুই বাংলার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দু'দেশের হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে একে অন্যের সঙ্গে কথা ও ভাব বিনিময় করেন। তবে এবার সেই অন্যরকম আনন্দ চোখে পড়বে না।  

ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির আগ পর্যন্ত এ জেলা ভারতের জলপাইগুড়ির অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু দেশভাগের কারণে এখানে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজন দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও দুদেশের নাগরিকরা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাতায়াতের সীমিত সুযোগ পেতেন। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার পর থেকে সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন তারা। উভয় দেশের নাগরিকদের অনুরোধে প্রায় এক যুগের মতো সময় ধরে বিজিবি ও বিএসএফের সম্মতিতে নববর্ষের দিন তারা কাঁটাতারের দুই ধারে এসে দেখা করার সুযোগ পান।

তবে টানা তিন বছর ধরে পহেলা বৈশাখে পঞ্চগড়ের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অভিমুখে এ মেলা হয়নি। এবারও হচ্ছে না।  

এদিকে পঞ্চগড়ের কিছু সীমান্ত অংশ নীলফামারী ৫৬ বিজিবির অধীনে থাকায় তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।