ঢাকা, রবিবার, ২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ জুন ২০২৪, ০৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ২২ জেলার পরীক্ষা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২২
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ২২ জেলার পরীক্ষা

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২২ জেলার পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রথম ধাপের পরীক্ষার প্রস্তিুতি নিতে ২২ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে মঙ্গলবার চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও লালমনিরহাট জেলার পরীক্ষা হবে।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, বেলকুচি, চৌহালী, কামারখন্দ ও কাজীপুর, যশোরের ঝিকরগাছা, কেশবপুর, মনিরামপুর ও শার্শা; ময়মনসিংহের ভালুকা, ধোবাউড়া, ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও, গৌরিপুর, হালুয়াঘাট ও ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার আটপাড়া, বারহাট্টা, দূর্গাপুর, কলমাকান্দা ও কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, হোসেনপুর, ইটনা, করিমগঞ্জ ও কটিয়াদি, টাঙ্গাইলের সদর, ভূয়াপুর, দেলদুয়ার, নবাবাড়ী, ঘাটাইল ও গোপালপুর; কুমিল্লার বরুড়া, ব্রাক্ষ্মণপাড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম সদর, মেঘনা ও দাউদকান্দি, নোয়াখালীর কবিরহাট, সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ি ও সূবর্ণচর উপজেলার পরীক্ষা হবে।

এসব উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬৪ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে বলে জানায় অধিদপ্তর।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়র একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম ধাপ শেষে ঈদুল ফিতরের পর দ্বিতীয় ধাপে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাকি জেলাগুলোর পরীক্ষা নেওয়া হবে।

১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় ১ এপ্রিল পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করে উত্তীর্ণদের জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ওই সময় কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। পরে জেলাভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে।  

এতে করে বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছ, যা পাঠদান কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। এ সমস্যা নিরসনকল্পে মন্ত্রণালয় পূর্বের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
এমআইএইচ/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।