ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পঞ্চগড়ে নদীর বাঁধ কেটে পাথর উত্তোলন, হুমকিতে ইদগাহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২২
পঞ্চগড়ে নদীর বাঁধ কেটে পাথর উত্তোলন, হুমকিতে ইদগাহ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় করতোয়া নদীর বাঁধ কেটে গভীর খনন করে পাথর উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে করতোয়া নদী রক্ষা বাঁধ ও পার্শ্ববর্তী ঐতিয্যবাহী ঈদগাহ ময়দান।

স্থানীয়রা ওই বাঁধ সংলঘ্ন স্থান থেকে দ্রুত পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করেছেন।

ঈদগাহ হুমকির মুখে পড়ায় স্থানীয়দের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ।

জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের গনাগছ গ্রাম সংলগ্ন করতোয়া নদীর গ্রাম রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে পাথর উত্তোলন করায় যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে ঈদগাহ বিলীন হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভেলুপাড়া থেকে ভুতিপুকুর পর্যন্ত করতোয়া নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ১২ কিলোমিটার এই বাঁধ। ইতোমধ্যে অনেক স্থানের নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে।

জানা যায়, বাঁধ ঘেঁষে স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের ঐতিয্যবাহী ঈদগাহ রয়েছে। সেই ঈদগাহে প্রতিবছর স্থানীয়রা ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন। তবে স্থানীয় কিছু পাথর শ্রমিক বাঁধ ঘেঁষে পাথর উত্তোলন করায়, আসছে বর্ষায় ঈদগাহ ময়দান বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, শত বাধার পরেও ওই শ্রমিকরা পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া করতোয়া নদীর অসংখ্য স্থানে বাঁধ ভেঙে পাথর/বালি উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা তোসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের একমাত্র ঈদগাহ এবার মনে হয় বর্ষায় স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারীর কারণে বিলীন হয়ে যাবে। ঈদগাহ ও বাঁধ রক্ষায় ওই স্থানে পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য তাদের বাধা দিলে কোনো কথাই তারা শুনছে না। তাই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাকে বিষয়টি অবহিত করেছি।

তবে স্থানীয় জফিরদ্দিনের ছেলে আব্দুল রাজ্জাক নদীর ওই স্থান নিজের পারিবারিক পৈত্রিক সম্পতি দাবি করে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। অভিযোগ আছে ওই স্থানে পাথর উত্তোলন করে প্রতি ট্রাক্টর পাথরের জন্য শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে কমিশন আদায় করছেন তিনি।

আরও জানা গেছে, বাঁধ ঘেঁষে পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত রয়েছে রাজ্জাক, আলম, হক্কুল, মাসুদসহ প্রায় অর্ধশত পাথর শ্রমিক।

এর আগে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের বাস্থবায়নে ঈদগাহ মাঠ উন্নায়ন, আরএডিপি প্রকল্পে দুই লাথ টাকার অর্থায়নে ওই ঈদগাহ মাঠের প্রাচীর নির্মাণ করা হয়।

এ বিষয়ে ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দীন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য আমাকে ইউএনও সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন। এর পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই বাঁধ ঘেঁষে পাথর উত্তোলন করছিল শ্রমিকরা। পাশে ঈদগাহ রয়েছে। তাই বাঁধ ও ঈদগাহ রক্ষায় সেই স্থানে পাথর উত্তোলন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।