ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ইতালিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
ইতালিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ঢাকা: ইতালিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫১তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এই বিশেষ দিনে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন, বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, রাষ্ট্রদূত কর্তৃক স্বাগত বক্তব্য প্রদান, দেশি ও বিদেশি আলোচকদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা এবং শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দোয়া ও মোনাজাত।

রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন। দূতাবাসের সভাকক্ষে দিবসটি উপলক্ষে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের উপর নির্মিত ইতিহাসভিত্তিক একটি নৃত্যনাট্য প্রদর্শন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাংস্কৃতিক সংগঠন - সঞ্চারি সংগীতায়ন এর শিশু-কিশোরদের ধারণকৃত বর্ণিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠানে এক নতুন মাত্রা যোগ করে।

দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, বন্ধুপ্রতীম বিদেশি নাগরিকরা, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরা অংশ নেন।

আলোচনা সভায় সম্প্রতি বাংলাদেশ মনোনীত সার্বিয়ায় নিযুক্ত অনারারী কনসাল জেনারেল ডেভোর ব্রেচিচ এ দিনটি উপলক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তিনি জানান, তৎকালীন যুগোস্লাভিয়া পৃথিবীর অন্যতম দেশ যারা প্রথমদিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে অবস্থান করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন তিনি।

এছাড়া ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক নেতারা এবং সাংবাদিকরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচকরা বঙ্গবন্ধুর কর্মময় গৌরবান্বিত জীবনের উপর আলোকপাত করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট ও মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান তার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। তিনি আরো বলেন যে, বঙ্গবন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। সকলকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে  যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান। পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
টিআর/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।