ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গায়ে হলুদের দিনে মৃত্যু হলো কনের!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
গায়ে হলুদের দিনে মৃত্যু হলো কনের! কাকলি আক্তার

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদর উপজেলার চরপালং এলাকায় কাকলি আক্তার (১৮) নামে এক তরুণীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।  

রোববার (২০ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

 

অভিযোগ উঠেছে বিয়ে করতে না পেরে ক্ষুব্দ হয়ে জাহিদুল ইসলাম (২২) নামে এক বখাটে গত বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।  

নিহত কাকলি আক্তার শরীয়তপুর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার দাখিল শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। রোববার তার গায়ে হলুদ ও সোমবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চর পালং এলাকার বাসিন্দা নুরুজ্জামান মাদবরের মেয়ে কাকলি আক্তার। তিনি শরীয়তপুর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসায় দাখিল শ্রেণির ছাত্রী। ওই মাদরাসার সাবেক ছাত্র জাহিদুল ইসলাম শরীয়তপুর পৌরসভার কাশাভোগ এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। প্রায়ই জাহিদুল ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করত। তাকে বিয়ে করার জন্য তার পরিবারের কাছে প্রস্তাবও দেয়। কাকলির পরিবার তাদের মেয়েকে জাহিদুলের কাছে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। সম্প্রতি কাকলির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। এতে ক্ষুব্দ হয় জাহিদুল। বৃহস্পতিবার রাতে জাহিদুল বসতঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাকলিকে কুপিয়ে আহত করে। চিৎকার শুনে এলাকার মানুষ এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা জাহিদুলকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ হামলাকারী জাহিদুল ও আহত কাকলিকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন কাকলির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিউতে স্থানান্তর করা হয়। রোববার ভোরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।  

নিহত কাকলির বড় ভাই ফারুক মাদবর বলেন, আজ আমার বইনের গায়ে হলুদ কালকে বিয়ার কথা ছিল। বইনে আইলো লাশ হইয়া। জাহিদুল আমার বইনেরে সব সময় বিরক্ত করত। তাই আমরা অল্প বয়সে অরে বিয়া দিতে চাইছিলাম। তাও পারলাম না খুনি জাহিদুল এর লাইগা। আমাগো মতো কারো পরিবারে যেন এমন ঘটনা না ঘটে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদুলের পরিবারের সদস্যরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ওই হামলার ঘটনায় কাকলির ভাই ফারুক মাদবর একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। কাকলি মারা যাওয়ায় ওই মামলাটি এখন হত্যা মামলায় পরিণত হবে। আর হত্যাকারী যেহেতু চিকিৎসাধীন সে যেন পালিয়ে যেতে না পারে তাই তাকে পুলিশী পাহারায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।