ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপনের সুযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপনের সুযোগ

ঢাকা: মামলায় ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণ সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপনের সুযোগ রেখে ‘এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনে ভিক্টিমকে জেরা করার ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রাখতে কোন জাতীয় প্রশ্ন করা প্রয়োজন সেটা আদালতের ঠিক করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সোমবার (১৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত কোভিডের পর থেকে অনলাইনে মামলা মোকদ্দমা চলছিল, এর ফলে সাক্ষী-প্রমাণ সব অনলাইনেই আসছিল। কিন্তু আমাদের এভিডেন্স অ্যাক্টে আবার এরকম ডিজিটাল এভিডেন্সের সরাসরি কোনো বিধান ছিল না। কেউ যদি মামলায় হেরে যেতো, সে যদি আবার আপিল করে উপরের কোর্টে সেক্ষেত্রে আইনি কিছু জটিলতা হওয়ার সুযোগ ছিল। এটা অনেকদিন ধরেই আলোচনায় ছিল, এ জন্য তারা এটা নিয়ে এসেছেন। এখন থেকে ডিজিটাল যে এভিডেন্স গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, কেউ যাতে মিথ্যা বা ম্যানুপুলেটেড এভিডেন্স দিতে না পারেন, সেজন্য প্রয়োজনে কোর্ট যদি মনে করেন আপত্তিজনক কিছু আছে বা কেউ আপত্তি করলে সেটাকে ফরেন্সিক করে দেবে। এটা করলে বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। কেউ একটা ম্যানুপুলেটেড এভিডেন্স দিল, এটা কিন্তু বাঁচার কোনো উপায় নাই। কারণ ফরেন্সিক করলেই ধরা পড়ে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশেষ করে ডকুমেন্টের ফরেন্সিক কিন্তু দুই-চার মিনিটেই করা যায়। একটু সময় লাগে ভিডিওর ক্ষেত্রে, তাও খুব বেশি সময় লাগে না। আমাদের পর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি আছে দেশে। বিসিসির কাছেও খুব হাই টেকনোলজি আছে। এগুলো বিভিন্ন জায়গায় সরকার সুবিধামতো ছড়িয়ে দিয়ে যে ডিজিটাল সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলো যদি কোর্ট বা কোনো পক্ষ মনে করে আপত্তি আছে তাহলে ফরেন্সিক করে নেবে। সুতরাং টুইস্ট করার কোনো উপায় নেই। কেউ যদি টুইস্ট করে তাহলে আমাদের পেনাল কোডের ২১১ ধারায় মিথ্যা সাক্ষ্যের বিষয় আছে আর ডিজিটাল অ্যাক্টেরও ৫৭ ধারা আছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা খুব ট্রিকি জিনিস, এ জন্য কেবিনেট বলেছে, আবারও আমাদের কাছে নিয়ে আসুক, আমরা দেখে দেবো। আরেকটি বিষয় হলো ভিক্টিমকে ক্রস (জেরা) করার ক্ষেত্রে আরেকটু শালীনতা বজায় রাখতে হবে। কোন জাতীয় প্রশ্ন প্রয়োজন সেটা কোর্ট ঠিক করে দেবেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ভিক্টিমকে জেরা করার ক্ষেত্রে প্রশ্নগুলো আদালত ঠিক করে দেবে বলে আইনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।