ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারি জমি দখলে নিরীহদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২২
সরকারি জমি দখলে  নিরীহদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট!

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সরকারি জমি দখলে নিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের তোফায়েল আহমেদ আলমাছের হুকুমে সন্ত্রাসীরা নিরীহদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং নির্মাণসামগ্রীসহ মালামাল লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হাওলি পাড়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ঘটনার তিন দিন হয়ে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।

ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন জানান, তাদের বাড়ি উপজেলার মাহমুদাবাদ টঙ্গীর ঘাট এলাকায়। তিনিসহ ব্রাক্ষণগাঁও এলাকার টঙ্গীর হোসেন ভিটে-মাটিহীন। নিজেদের কোনো জায়গা-জমি না থাকায় তারা অন্যের বাসায় ভাড়া থাকেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের গৃহায়নের ব্যবস্থা  করলে তারাসহ এলাকার অন্যান্য নিরীহ মানুষ সরকারি ঘর ও জমি পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের পর মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ব্রাক্ষণগাও মৌজার হাওলি পাড়া গ্রামে জমি বরাদ্দ পান তারা। বরাদ্দ পাওয়ার পর সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ দিয়ে সেই জমিতে ঘর-বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন। গত এক সপ্তাহ ধরে মুড়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ বাড়ি নির্মাণ না করার জন্য তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, সরকারের তালিকাভুক্ত খাসজমি আত্মসাৎ ও দখলে নিতে চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছের হুকুমে তার পালিত সন্ত্রাসী সাহারুল, সুমন, ইকবাল, রাকিব, ডালিম, দেলু, বাবলাসহ তাদের লোকজন বড় বড় সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে বরাদ্দ পাওয়া নিরীহদের অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার রাত ১০টার দিকে আলমাছ চেয়ারম্যানের হুকুমে ওই সন্ত্রাসীরা ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নির্মাণাধীন বাড়িঘরে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুরসহ তাণ্ডব চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা লোহার দরজা, জানালা, গ্রিল, রড, সিমেন্টসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া এ ঘটনায় কোনো মামলা করলে খুন করে ওই জমিতে পুঁতে রাখা হবে বলেও হুমকি দেয়।

বিল্লাল হোসেন আরও জানান, ঘটনার তিন দিন হয়ে গেলেও এবং থানায় অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ মামলা নেয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছের সঙ্গে মোবাইল ফোনে  যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

আর রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এ ধরনের ঘটনার একটি অভিযোগ গত সোমবার রাতে পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা নেওয়া হবে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউএনও শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ৮ মার্চ, ২০২২
এমআরপি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।