ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কর্ণফুলি গ্যাসের সাবেক পরিচালকের নামে দুদকের মামলা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
কর্ণফুলি গ্যাসের সাবেক পরিচালকের নামে দুদকের মামলা  নেছার আহমেদ

ঢাকা: পেট্টোবাংলার অধীন ‘কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক পরিচালক আনিছ উদ্দিন আহমেদসহ চারজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. জাহিদ কালাম বাদী হয়ে রোববার এ মামলা করেন।  

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আনিছ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী কামরুন নাহার পলি, ঠিকাদার নেছার আহমেদ ও নূর মোহাম্মদ।  

তাদের বিরুদ্ধে কেনাকাটার নামে ক্রয়নীতি লঙ্ঘন করে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫৩ টাকা আত্মসাত এবং ৯ কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।  

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মো. আনিছ উদ্দিন আহমেদ ২০১১ সালের ২১ আগস্ট কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তৎকালীন ব্যবস্থাপক (পুর-নির্মাণ) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তিনি সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে ওই প্রতিষ্ঠানেরই নিবন্ধিত ঠিকাদার মেসার্স  নেটকো কনস্ট্রাকশনের মালিক নেছার আহমেদ ও তার স্ত্রী নুসরাত জাহান এবং আনিছ উদ্দিনের স্ত্রী কামরুন নাহারকে নিয়ে ‘রক প্রপার্টিজ’ নামের একটি ডেভলপার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এ প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স নূর সিন্ডিকেট’র সঙ্গে একটি দরপত্র পরিচালনা ও নির্মাণকাজের চুক্তি করে।  

গত ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চাঁদগাঁওয়ে অফিসার্স আবাসিক এলাকায় একটি ১০ তলা ভবনের দরপত্র আহ্বান করা হয়।  

এতে অংশগ্রহণ ও নির্মাণকাজে সব ধরনের কাজ সম্পাদন করে বিল বাবদ পাওয়া অর্থ গ্রহণ করবে এবং বিনিময়ে মেসার্স নূর সিন্ডিকেটকে প্রাপ্ত বিলের ১.৫ শতাংশ টাকা প্রদানের কথা উল্লেখ রয়েছে।  

অনুসন্ধানে অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। তাতে দেখা যায়, আনিছ উদ্দিন আহমেদ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৬-এর ৬৩(৩) ধারা ও ৬৩ (৪) ধারা লঙ্ঘন করেছেন। নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ পাইয়ে দিয়ে তিনি ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫৩ টাকা আত্মসাত করেন।  

একই সঙ্গে ক্রয়কারী ও ঠিকাদার নিজেদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে যৌথ ও একক অ্যাকাউন্ট  খোলেন। এতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’র মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর এবং রূপান্তর বাবদ ৯ কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেন। এটি দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  

অভিযোগটি দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধান প্রতিবেদন আমলে নিয়ে কমিশন মামলা রুজুর অনুমোদন দেয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
এসএমএকে/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।