ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৪ জুন ২০২৪, ২৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে বরগুনায় ১০ লাখ টাকার শুটকির ক্ষতি

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে বরগুনায় ১০ লাখ টাকার শুটকির ক্ষতি শুটকি পল্লী

বরগুনা: বরগুনায় হঠাৎ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় দুই উপজেলার প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের শুটকির ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিভিন্ন শুটকি পল্লীতে ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিষয়ে আরও জানা যায়, পাথরঘাটা ও তালতলী উপজেলায় অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিতে প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে মোট ক্ষতির আশঙ্কা ১০ লাখ ছাড়াতে পারে।

পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা এলাকার বাসিন্দা আলম গরামী ও রুহিতা গ্রামের মালেক ফকির বাংলানিউজকে বলেন, শুটকি মাটিতে বিছিয়ে শুকাতে হয়। রাতে হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়ায় সব শুটকি নষ্ট হয়ে গেছে। দাদন নেওয়া স্থানীয় মাছের আড়ৎদারের কাছে আমাদের অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।

তালতলী উপজেলার শুটকি ব্যাবসায়ীরা বলেন, এ লোকসান কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাই। বিনা সুদে নগদ অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করলে আমরা পুণরায় এ ব্যাবসা চালু করতে পারবো।  

পাথরঘাটা শুটকি আড়ৎদার রেজাউল করিম আব্বাস বাংলানিউজকে বলেন, এ পেশায় নিয়োজিত আমার মৎস্য আড়ৎদে ৫০ জনের বেশি শুটকি মাছ প্রক্রিয়া জাতকরণ পরিবার আছে। এদের মধ্য সকলের শুটকি মাছ বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে কাঁচা শুটকিগুলো।  

পাথরঘাটা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বাংলানিউজকে বলেন, শুটকি বৃষ্টির পানিতে ভিজলে এর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। বাজারে এর চাহিদা থাকে না। তবে গত কালকের বৃষ্টিতে কি পরিমান শুটকির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এটা আমাদের কাছে এখনও হিসাব আসেনি এবং এখনও এ বিষয়ে কোন তথ্য মৎস্য ব্যবসায়ীরা আমাদের জানায়নি।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওছার হোসেন মুঠোফোনে বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসায়ীরা সহায়তা চেয়ে লিখিত আবেদন দিলে পর্যাক্রমে তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

পাথরঘাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করার পর শুটকি যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এখন যাদের শুটকি বৃষ্টিপাতের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হবে।

এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বাংলানিউজকে বলেন, রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কাঁচা শুটকিগুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সারাদিন রোদের তাপমাত্রা বৃদ্ধি থাকার কারণে ক্ষতির পরিমাণটা কিছুটা কম হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।