ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সেন্টমার্টিনে চার রিসোর্টকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
সেন্টমার্টিনে চার রিসোর্টকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

কক্সবাজার: প্রসাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজারের টেকনাফের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের পরিবেশ বিধ্বংসী এ অপতৎপরতা রোধে সেখানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানে পাকা ভবন নির্মাণের দায়ে চারটি রিসোর্টকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় কয়েকটি দ্বীপের কয়েকটি নির্মাণাধীন রিসোর্টের বিপুল পরিমাণের নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করা হয়। আর নির্মাণাধীন কয়েকটি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে নিজ খরচে স্থাপনা ভেঙে ফেলার জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন হকের নেতৃত্বে দ্বীপের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আজহারুল ইসলামসহ অন্যান্যরা এ অভিযান চালান।

আজহারুল ইসলাম  জানান, দ্বীপে সাগরে নির্মাণাধীন রয়েছে রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রশীদের মালিকানাধীন ‘ড্রিমার্স প্যারাডাইস’ নামের রিসোর্টটি। ভ্রাম্যমাণ আদালত রিসোর্টটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে নিজেদের খরচে আগামী সাত দিনের মধ্যে স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছেন। অনুরূপ প্রিন্স হ্যাভেনকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইনে এক লাখ টাকা ও অবৈধ স্থাপনার দায়ে ফ্রেন্ডস রিসোর্টকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এগুলোসহ আরও কয়েকটি পাকা স্থাপনাও সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি স্থাপনা পরিবেশ কর্মীরা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। এছাড়া এ অভিযানে আটলান্টিক রিসোর্টকে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণের দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
 
তবে আটলান্টিক রিসোর্টটির দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জানান, দ্বীপে পরিবেশের অফিসটিও দোতলা পাকা ভবন। পরিবেশ অধিদপ্তর পাকা ভবন করলে দ্বীপের পরিবেশ নষ্ট হয় না, অন্যরা করলে পরিবেশের ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের উপ-পরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা বলেন, কর্মকর্তাদের দ্বীপ পরিদর্শনের সময় থাকার জন্য অফিস কাম রেস্ট হাউজটি তৈরি করা হয়েছে।  

সম্প্রতি সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ আশপাশের এক হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া (এমপিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়।  
 
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটি যেকোনোভাবে আমাদের রক্ষা করতে হবে। এ কারণে দ্বীপ ও দ্বীপ সন্নিহিত সাগরের পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই সচেতন করা দরকার। এজন্য আগামী রোববার একটি সভার আহ্বান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
এসবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।