ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

অনশন ভাঙতে পারেন শিক্ষার্থীরা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ও শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
অনশন ভাঙতে পারেন শিক্ষার্থীরা! উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়েছেন | ছবি: মাহমুদ হোসেন

শাবিপ্রবি (সিলেট): উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আমরণ অনশনের ১৪৭ ঘণ্টা পার হয়েছে। ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত না আসায় অনশনকারীরা তাদের অনশন ভাঙতে পারেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাসার রাজ।

তবে অনশন কর্মসূচি থেকে সরে এলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে শপথ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব কথা জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাসার রাজ।

তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনের ১৩ দিন চলছে, অনশনের চলছে সপ্তম দিন। অনশনের ১৪৭ ঘণ্টা পার হলেও কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশানুরূপ সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই আমরা আমাদের সহপাঠীদের মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে তাদের অনশন ভাঙাতে চেষ্টা করছি। তবে যতদিন উপাচার্য পদত্যাগ করবে না ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো বলে শপথ নিয়েছি।



বর্তমানে অনশনরত ২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১৯ জন সিলেটের ৩টি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি ৯ জন অনশনরত অবস্থায় উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।

গত ১৯ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। প্রথমে ২৪ জন শিক্ষার্থী অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে পারিবারিক কারণে একজন বাড়িতে চলে যান। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১৩ জানুয়ারি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের ছাত্রীরা।

পরে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে তাদের ওপর লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
এনইউ/এইচএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।