ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নাটোরে স্ত্রী-সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বামী আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
নাটোরে স্ত্রী-সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বামী আটক

নাটোর: পারিবারিক কলহের জেরে নাটোরে স্ত্রী মাসুরা বেগম (২০) ও আড়াই বছরের শিশু কন্যা মাহফুজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী আব্দুস সাত্তারকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের চৌকিরপাড় এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে ঘাতক স্বামী আব্দুস সাত্তারকে আটকের পর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নিহত মাসুরা বেগম সদর উপজেলার দত্তপাড়া গোযালডাঙ্গা গ্রামের মেছের আলী প্রামাণিকের মেয়ে এবং শহরের চৌকিরপাড় এলাকার পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী। আর আটক আব্দুস সাত্তার ওই এলাকার হযরত আলীর ছেলে।  

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মনছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী মাসুরা বেগমের সঙ্গে স্বামী আব্দুস সাত্তারের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মাঝে মাঝেই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো।  

শনিবার রাতে খাওয়া শেষে আব্দুস সাত্তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঘরে ঘুমাতে যান। রাতের কোনো এক সময় আব্দুস সাত্তার তার স্ত্রী মাসুরা বেগম ও কন্যা সন্তান মাহমুদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এ সময় আব্দুস সাত্তারের ছেলেকেও মারধর করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন তিনি।  

পরে রোববার দুপুরে মরদেহ দুইটি গুম করার চেষ্টায় বস্তাবন্দি করার সময় পরিবারের অন্য সদস্যসহ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুইটি উদ্ধার ও ঘটনাস্থল থেকে আব্দুস সাত্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে মা ও মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। এ ব্যাপারে পরিবারের অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।