ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

৫শ’ সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণে ঢামেক

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
৫শ’ সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণে ঢামেক

ঢাকা: চোর শনাক্তসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নতুন করে ৩০০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আগে লাগানো ছিল ২০০ টি ক্যামেরা।

নতুন পুরাতন মিলে বর্তমানে ঢামেকে ৫০০ সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে।

হাসপাতালের ভেতরে ও চত্বরে এই সিসি ক্যামেরাগুলো লাগানো হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে দুটি বিশাল টিভি মনিটর আছে। সেখানে কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনিও সেগুলো সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) হাসপাতালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, রোগীদের মালামাল, বিশেষ করে টাকা-পয়সা, মোবাইল এগুলো চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। হাসপাতালে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার বিষয়ে কোনো বিধি-নিষেধ না থাকার কারণে চোররা বিভিন্নভাবে রোগীদের মালামাল হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক সময় তারা ধরাও খাচ্ছে।

তারা আরও জানান, হাসপাতালে কোথায় কি হচ্ছে, সবকিছুই এখন সিসি ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালের স্টাফরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন কিনা ও অন্যান্য বিষয়গুলো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বলেন, হাসপাতালে রোগীদের ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা দিয়ে থাকে আনসার সদস্যরা। হাসপাতাল থেকে আমাদের কাছে বেশি অভিযোগ আসে মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে। রোগী ও স্বজনদের প্রতিনিয়ত মোবাইল চুরি হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে রোগীর স্বজনদের অজ্ঞান করে টাকা পয়সা নেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

এই বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারকক্ষ ও কিছু কিছু প্রাইভেসি জায়গা ছাড়া সব স্থান সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সিসি টিভি ফুটেজের কল্যাণে চোরদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে।

ইদানিং দেখা যাচ্ছে আমরা ঘটনাটি জানতে পারছি কিন্তু যে চুরি করছে তাকে শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা সেটারও ব্যবস্থা নিচ্ছি। মানুষের কষ্ট দূর করতে আমরা কাজ করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাসপাতালে চুরির অভিযোগ, টাকা লেনদেনসহ নানা হয়রানির অভিযোগ থাকে।  চোর শনাক্ত ছাড়াও স্টাফরা সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা, এসব বিষয় সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হয়।

নাজমুল হক বলেন, এটেনডেন্টের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এটেনডেন্ট পাশ ছাড়া হাসপাতালে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এটা যদি পুরোপুরি কার্যকর করা যায় তাহলে হাসপাতালের ভেতর একেবারেই বহিরাগতদের প্রবেশ থাকবে না।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
এজেডএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।