ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

আটিয়া বন আইনের খসড়া অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
আটিয়া বন আইনের খসড়া অনুমোদন

ঢাকা: বনের কেউ ক্ষতি বা ধ্বংসাত্মক কাজ করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে আটিয়া বন (সংরক্ষণ) আইন ২০২১-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।  

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

 

বৈঠকে শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমার যতদূর মনে পড়ে এটা (আটিয়া বন) নাটোরের মহারাজাদের ছিল খুব সম্ভব অথবা রানী ভবানী এদের বংশের ছিল। কিন্তু সরকার ১৯২৮ সালে বলেছে এটা পরিবেশের জন্য প্রয়োজন। ইট ইজ এ রিজার্ভ ফরেস্ট। কেউ ঢুকলে তার জেল হবে, গাছ কাটলে নন-বেলএবল (জামিন অযোগ্য) ওই সময় থেকেই। পরবর্তীতে ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান সরকার এটা রিভাইভ করে। এরপর ১৯৮২ সালে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয় ‘আটিয়া ফরেস্ট প্রটেকশন অর্ডিনেন্স’। সেখানেও বনের কেউ ক্ষতি করলে বা ধ্বংসাত্মক কাজ করলে জামিন অযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে যাবে। সেটা যেহেতু অধ্যাদেশ ছিল, এটা আজকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। পাঁচটা ধারা, এগুলো পুনরায় করে যাওয়া হয়েছে অধ্যাদেশে, যা আছে সেই অনুযায়ী।

প্রধানমন্ত্রী দ্রুত একটা ডিজিটাল সার্ভে করার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী কতগুলো নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে- একটা ডিজিটাল সার্ভে করতে হবে দ্রুত। এটা আটিয়া থেকেই শুরু হোক। যেখানে যেখানে আমাদের এ রকম বন আছে, সেখানে ৪৫ হাজার একর জমির মধ্যে কতটুক ইনটেক এখনো বন আছে এবং কতটুকু জায়গার মধ্যে বিভিন্ন মানুষ বসবাস করেন। অনেক লোক বসবাস করে। এ যে লোকরা বসবাস করে তাদের স্ট্যাটাস কী এবং তাদের তো এখন তোলাও যাবে না দ্রুত। কোথায় যাবে তারা? সুতরাং কীভাবে একটা সমাধান করা যায়। যদি তারা বনের এরিয়াতে না থাকে তাহলে তাদের কী ওইখানে সেটেলমেন্ট দেওয়া যায় কিনা অথবা অন্য জায়গায় খাস জমি থাকলে সিফট করা যায় কিনা, তাদের আবাসনের একটা নিশ্চয়তা কীভাবে করা যায় এটার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বন এলাকা পুরোটাই বন না। যদি এমন কোনো জায়গা থাকে যেটা বনের ক্ষতি করবে না, তাহলে সেখানে রাখা যায় কিনা অথবা আশপাশের কোথাও শিফট করা যায় কিনা সেটা দেখতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় মধুপুর বন, শেরপুরের লালপাহাড় যেখানে যেখানে বন আছে সুন্দরবনের ওইদিকে, সেখানে অনেক মামলার অনুমোদন আছে। অনেক জায়গায় একজনের বিরুদ্ধে ৫০টা মামলা আছে। আমি নিজেও জানি, আমাদের মন্ত্রীদের অনেকে বলেছেন আজকে- আপনারা প্রয়োজন হলে পাঁচ বছরের জেল দিয়ে দেন, কিন্তু মামলা থেকে অন্তত মুক্তি দেন। ৩০টা, ৫০টা, ৪০টা বা ১০টা মামলাও যদি হাজিরা দিতে হয় জীবন অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  

তিনি বলেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন এ মামলাগুলো রিভিউ করে যেগুলোর যুক্তিকতা নেই, সেগুলো যথা সম্ভব আমরা তুলে নেব। মানুষকে কমফোর্ট দিতে হবে। আর ব্যাপক প্রচার করতে হবে যাতে মানুষ এর মধ্যে ইনভল্ব না হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।