ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরের ঘটনা আরও জানতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২১
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরের ঘটনা আরও জানতে হবে

ঢাকা: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরের ঘটনাগুলো কারা ঘটাচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের আরও জানতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  

তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানছি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।

যাতে করে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।  

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চার পাশে সীমানা প্রাচীর বা কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছেন সেটা শেষ হলে সেখানে মাদক-চোরাচালান বা নানা ধরনের অপকর্ম বন্ধ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা নিচ্ছি। সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে তাদের বৈধতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। যাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো লোক প্রবেশ করতে না পারে। তারা যাতে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হয় এবং দলবেঁধে এখান থেকে বের হতে না পারে সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে।  

মন্ত্রী বলেন, ক্যাম্পগুলোতে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে যাতে তারা সব সময় ক্যামেরার আওতায় থাকে। এগুলো করা হচ্ছে যাতে এখানে পরিসুন্দর একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি। যাতে একটা নিরাপত্তার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরের ঘটনাগুলো কারা ঘটাচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের আরও জানতে হবে।  

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১১ লাখ লোক থাকছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা বাড়তে বাড়তে শেষ সীমানা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আমরা চাই রোহিঙ্গারা ভালো থাকুক এখানে। তারা দ্রুত তাদের দেশে ফিরে যাক। অসুবিধাটা কোথায় সেটা আপনারা জানেন। বলপূর্বক রোহিঙ্গাদের যে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো তার পেছনের কারণও আপনারা জানেন। আসার পেছনে কারা তাও আপনারা জানেন।  

তিনি বলেন, ক্যাম্পগুলোতে আরসার কিছু যুবক ঘোরাঘুরি করছে। রোহিঙ্গা নেতা সব সময় বলেছে আমরা ফিরে যেতে চাই। তাকে আমরা চিহ্নিত করেছি। এ যে হত্যা, মারামারি, দখল, আধিপত্য বিস্তার, তার ওপরে মাদক ব্যবসা। যেটা আমি সব সময় বলি এটা বর্ডার পার হয়ে দুর্গম এলাকায় চলে যায় আবার ফিরে আসে। এর ভাগাভাগি সব মিলিয়ে সেখানে একটা অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যার জন্য আমরা পুলিশ, র‌্যাব, আনসার পাঠিয়েছি। আর্মির নজরদারিতে রেখেছি তাদের। তারপরও বিশৃঙ্খলা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ভেতরে হাঁটার রাস্তাগুলোতে সহিংসতা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে, যারা খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তাদের আটকের চেষ্টা করছি। এখানে নানামুখী বিষয় রয়েছে। এখানে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। যারা পাঠিয়েছে তাদেরও ইন্ধন থাকতে পারে। যাতে আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

এ সময় সংগঠনের যুগ্ন সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. শফিইল্লাহ সুমন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল, শাহজাহান মোল্লা, হাসিফ মাহমুদ শাহ, শাহাদাত হোসেন রাকিব উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।