ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কুমিল্লায় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
কুমিল্লায় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়েছে

ঢাকা: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে সরকারকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলতে কুমিল্লার ঘটনাটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, এটা আমরা অনুমান করছি, আমাদের অনুমান সত্যি হবে।

কিন্তু আমরা নিশ্চিত হয়ে আপনাদের বলবো।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সস্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো গোয়েন্দা সংস্থা কি আচ করতে পারেনি- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি রংপুরের ঘটনা দিয়ে বলতে চাই, এ ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলক কিনা, কে বা কারা ঘটিয়েছে সেটা বের করতে আমাদের আরেকটু সময় দিতে হবে। আমাদের লোক সেখানে কাজ করছে। এ বিষয়ে র‌্যাব, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিইউ) সহ সবাই কাজ করছে। আমরা ফেসবুকের লিংকগুলো খুঁজে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। শিগগিরই সেগুলো জেনে যাব।

তিনি বলেন, আমরা রামু, ভোলা ও নাসিরনগরে এ ধরনের ঘটনা দেখেছি। এগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারের মাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ঘটানো হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্নপূরণ করবো। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের এই চেতনা থেকে সরিয়ে দেওয়া ও দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করা। কয়েক ব্যক্তি এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা কুমিল্লার কথা বলেছেন, এ বিষয়ে আমরা খুব শিগগিরই জানাবো, আমরা এটার খুব কাছাকাছি আছি। কুমিল্লার ঘটনাটি বিশৃঙ্খলা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের মধ্যে যে সম্প্রতি আছে তাতে ভাঙন ধরানোর একটা অপকৌশল ছিলো। অনেকেই সেখানে না বুঝে অনেক কিছু করে ফেলেছেন। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পুলিশ বাধ্য হয়ে ফায়ার ওপেন করেছে, সেখানে চারটি নিরীহ প্রাণ গেছে। নোয়াখালীতে নামাজ হয়ে গিয়েছিল, মুসুল্লিরা চলে গিয়েছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা খাবার খাচ্ছিল, এমন সময় কয়েক জায়গা থেকে টিনএজ কিছু লোক এসে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে।

মন্ত্রী বলেন, রংপুরের ঘটনায় এরই মধ্যে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।   সারা দেশে অন্যান্য ঘটনায়ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ করছে। নোয়াখালীতে যা ঘটেছে, কুমিল্লায় যা ঘটেছে, হাজীগঞ্জে যা ঘটেছে, এগুলোকে আমরা এক সূত্র হিসেবে ধরে নিয়েছি। এগুলোর পেছনে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি রয়েছে। এরই মধ্যে আমরা সন্দেহজনক লোকদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করেছি, সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে সবাইকে জানাবো। এর জন্য কিছু সময় লাগবে।

তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত কুমিল্লার ঘটনাটা সাজানো। আমি আবারও বলছি, কোনো সম্প্রদায়ের লোক অন্য সম্প্রদায়ের একটা ধর্মগ্রন্থ এনে অপমান করবে, এ ধরনের মন-মানসিকতা বাংলাদেশে নেই। কেন হচ্ছে, কেন করাচ্ছে সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন জাগছে, সেটাই আপনাদের সামনে খোলাসা করে জানাতে পারবো। এজন্য আমাদের আরও একটু সময়ের প্রয়োজন৷

সাম্প্রতিক ঘটনার মধ্যেই নোয়াখালী ও রংপুরে এসপিকে বদলি করা হয়েছে- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নোয়াখালীর এসপিকে বদলি করা হয়েছে আরও দুই মাস আগে। আর রংপুরের এসপিকেও বদলি করা হয়েছে কিছুদিন আগে। তবে তিনি অসুস্থ ছিলেন এজন্য তার আবেদনের প্রেক্ষিতে একটু দেরি করা হয়েছে। দুই বছর পর পর পুলিশে বদলি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

বাংলাদেশ সময় : ১8০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮,২০২১
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।