ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জামাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতনকারী শাশুড়ি আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
জামাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতনকারী শাশুড়ি আটক

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে তার শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।

গত সোমবার রাণীশংকৈল উপজেলার ভাঙবাড়িতে এ ঘটনা ঘটলে নির্যাতনের ভিডিওটি বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

এরপর শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাণীংকৈল থানা পুলিশ বাড়ি থেকে শাশুড়ি সেলিনা বেগমকে আটক করে।

আটক সেলিনা বেগম ভাঙবাড়ি এলাকার করিমুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনার করিমুলও পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, একই এলাকার করিমুলের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই যুবকের। দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর পরিবারকে না জানিয়ে তারা বিয়ে করে আত্মগোপনে থাকেন।

এদিকে মেয়ের পরিবার থেকে ছেলের পরিবারকে মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বিয়ে মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়। মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ছেলে-মেয়েকে পরিবারের কাছে দিয়ে আসে।

পরে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় যান ওই যুবক। তখনই মেয়ের বাবা-মা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকেন। পরে পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যুবককে।

ছেলের বাবা খলিলুর রহমান বলেন, ‘কত দিন আগে আমার ছেলে বিয়ে করেছে, আমি জানি না। তবে পাড়ার লোকদের মুখে শুনি তারা দুইজন ভালোবেসে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে। প্রায় দুইমাস ধরে তারা ঢাকায় ছিল। মাঝে মাঝে আমাকে ফোন দিত।

‘ওই মেয়ের বাবা করিমুল আমাকে বলেন যে দুইজনকে আসতে বলেন, আমরা বিয়েটা মেনে নেব। চার দিন আগে তারা দুইজন বাড়িতে আসে। মেয়েকে তার বাবা তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। গতকাল আমার ছেলে দেখা করতে গেলে তাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে করিমুল ও তার স্ত্রী। পরে পুলিশ গিয়ে আমার ছেলেকে রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ’

ঘটনার এতদিন পেরিয়ে গেলেও মামলা কেন করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি গরীব মানুষ, করিমুল বড় লোক। ভয়ে মামলা করি নাই। ’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চার দিন ধরে ওই যুবক হাসপাতালে ভর্তি। তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এখন তিনি অনেকটা সুস্থ। আমরা তাকে দুই-তিনদিনের মধ্যে ছেড়ে দেব। ’

রানীশংকৈল থানার ওসি জাহিদ বাংলানিউজকে জানান, ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। তবে ঘটনার তদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে মেয়ের মাকে ওই বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। মেয়ে ও তার বাবা কাউকেই পাওয়া যায়নি। তাদের খোঁজা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।