ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সিনহা হত‍্যা মামলা: তৃতীয় দফায় প্রথম দিনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
সিনহা হত‍্যা মামলা: তৃতীয় দফায় প্রথম দিনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান

কক্সবাজার: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফায় প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এদিন তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

 

এ নিয়ে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মোট নয় জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।  তৎমধ্যে ৮ জনই সিনহা হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী।  

সোমবার যারা সাক্ষী দিয়েছেন তারা হলেন- প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হামিদ, টমটম চালক শওকত আলী ও মোস্তাফিজ মাহমুদ।  

এদিন বেলা ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, সিনহা হত্যা মামলার বিচার কাজের তৃতীয় দফা স্বাক্ষগ্রহণের প্রথমদিন প্রত্যক্ষদর্শী তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তারা সিনহা হত্যার ঘটনা যা দেখেছেন তা আদালতে বর্ণনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার ও বুধবার (২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর) পরবর্তী স্বাক্ষগ্রহণ শুরু হবে।

এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার প্রথম দফায় ১নং সাক্ষী ও মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ও ২নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। একইভাবে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর টানা ৪ দিন দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। এ নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র‍্যাবকে।

ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

পরে র‍্যাব পুলিশের দায়ের মামলার ৩ সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।

গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
এসবি/এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।