ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আমার বাবা আমার ধ্রুবতারা, জন্মবার্ষিকী স্মরণে শিক্ষামন্ত্রী 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২১
আমার বাবা আমার ধ্রুবতারা, জন্মবার্ষিকী স্মরণে শিক্ষামন্ত্রী  বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবিটি শিক্ষামন্ত্রীর ভেরিফাইড ফেসবুক থেকে নেওয়া।

ঢাকা: ১ আগস্ট, ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী। তিনি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বাবা।

জন্মবার্ষিকী স্মরণে শিক্ষামন্ত্রী ভেরিফাইড ফেসবুকে লিখেছেন, আজ আমার বাবার ৯৬তম জন্মবার্ষিকী। আমার বাবা আমার ধ্রুবতারা। সবার কাছে তার জন্য বিনীতভাবে দোয়া প্রত্যাশা করি।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক কর্মাধ্যক্ষ মরহুম এম এ ওয়াদুদ ১৯২৫ এর ১ আগস্ট চাঁদপুর জেলার রাঢ়ির চর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  

এমএ ওয়াদুদ গণতান্ত্রিক যুবলীগ (১৯৪৮), পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (১৯৪৮) ও কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলার (১৯৫৬) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (১৯৪৯), সাপ্তাহিক ইত্তেফাক (১৯৪৯) ও দৈনিক ইত্তেফাক (১৯৫৩) প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন।  

তিনি হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দি ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহযােগী ছিলেন। এমএ ওয়াদুদ ১৯৫৩-৫৪ সালে প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দুইবার নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও এক বার প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের দায়িত্বও তিনি নিষ্ঠা ও সাফল্যের সঙ্গে পালন করেন।  

তিনি আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে ১৯৪৮ সালে একবার এবং ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দ্বিতীয়বার কারাবরণ করেন। ১৯৫৪ সালে ৯২ (ক) ধারা জারি করে যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বরখাস্ত করার পর ছাত্র আন্দোলনকে স্থিমিত করার জন্য পুনরায় ওয়াদুদকে কারারুদ্ধ করা হয়। ১৯৪৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তর্কালীন শাসকদের রুদ্ররোষের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন আত্মগােপন করতে তিনি বাধ্য হন। ১৯৪৯ সালে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধুসহ এমএ ওয়াদুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন। ১৯৭৮ সালে সামরিক সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মন্ত্রিত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানাের জন্য তিন বার বিভিন্ন মেয়াদে এমএ ওয়াদুদ কারাবরণ করেন। সামরিক শাসনের সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে বারবার মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হয়।

এমএ ওয়াদুদ ১৯৪৭ এর দেশবিভাগের পর থেকে ১৯৭১ পেরিয়ে ১৯৮৩ এর ২৮ আগস্টে মৃত্যুবরণের পূর্ব পর্যন্ত বাঙালির ভাষা, স্বাধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির সব আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।  

সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী (২০০৯-২০১৩), চিকিৎস, আইনজীবী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. দীপু মনি তার একমাত্র কন্যা এবং চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ডায়াবেটিক ফুট সার্জারিতে দেশের একমাত্র বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ (টিপু) তার একমাত্র পুত্র।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২১
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।