ঢাকা: চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও নানা অপকর্মের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা টেলিভিশনে কর্মী/সাংবাদিক নিয়োগের নামে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করে আসছিলেন। এ ধরনের একটি চাঁদাবাজি সংক্রান্ত ফোনালাপ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ নম্বরের ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি হরিণের চামড়া ও একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়া গেছে। এর জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ১৯ বোতল বিদেশি মদ পাওয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়াও অবৈধ ও অনুমোদনহীন ২টি ওয়াকিটকি ও স্যাটেলাইট সরঞ্জামাদি জব্দ হওয়ায় বিটিআরসি হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে ব্যবস্থা নেবে। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর দায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনবিহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করা হয়েছে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। হেলেনা জয়যাত্রা টেলিভিশনে কর্মী/সাংবাদিক নিয়োগের নামে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করতেন। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও দেশের বাইরেও প্রতিনিধি নিয়োগ দিতেন। চাঁদাবাজি সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক জানান, জয়যাত্রা টেলিভিশনের অফিসে অভিযানে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে। টেলিভিশনে নিয়োগের নামে অর্থ প্রদান করে থাকেন এবং কেউ যদি হয়রানির শিকার হন তাহলে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
এসজেএ/এমজেএফ