ঢাকা: আগামী ১ আগস্ট থেকে চালু হতে যাওয়া দেশের রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা কর্মস্থলে (কারখানা এলাকায়) থাকা শ্রমিকদের দিয়েই চালু করা হবে। লকডাউন শিথিল হলে গ্রামে থাকা শ্রমিকরা কর্মস্থলে আসার পরে পুরোদমে কারখানা চলবে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম বাংলানিউজকে এ কথা জানান।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলাকালে আগামী ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, আগামী ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প-কলকারখানা চলমান বিধি-নিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
করোনা মহামারি রোধে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করার পর থেকে সব শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখা হয়। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই বিধি-নিষেধ চলাকালে শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখার কথা ছিল।
কিন্তু ব্যবসায়ী নেতারা রপ্তানিমুখী শিল্প বিশেষ করে পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য কলকারখানা চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী নেতারা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি জানান।
শিল্প-কলকারখানা খুলে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং বিভাগীয় কমিশনারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আরও পড়ুন: সব শিল্প-কারখানা খুলছে ১ আগস্ট
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
এসই/এমজেএফ