ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নির্মিত হবে আন্ডারপাস-ইউলুপ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২১
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নির্মিত হবে আন্ডারপাস-ইউলুপ

ঢাকা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত করতে ফের ৫৬৮ কোটির টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নতুন করে এ জাতীয় মহাসড়কে আন্ডারপাস (পাতালপথ)-ইউলুপ নির্মাণ করা হবে।

দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোসহ টেকসই, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয় যোগাযোগ ব্যবস্থার লক্ষ্যে নতুন করে এ উদ্যোগ।

জানা গেছে, এ মহাসড়কের ৯৩তম কিলোমিটারে কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে তিন রাস্তার মোড়ে আন্ডারপাসসহ ইউলুপ এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে।

‘ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে ৬টি আন্ডারপাস এবং পদুয়ার বাজার ইন্টারসেকশনে ইউলুপ নির্মাণ’ নামের এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।

প্রকল্পটি বুধবার (২৮ জুলাই) শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেললন কক্ষে অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ।

পরিকল্পনা কমিশনের পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন আল-রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (এন-১) ও কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পদুয়ার বাজার ইন্টারসেকশনে ইউলুপ ও একটি আন্ডারপাস, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা গেইট এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলতলী গেইট সংলগ্ন স্থানে দু’টি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঝুঁকিমুক্ত হবে।

পাশাপাশি সড়কে জটলা কমবে। ঢাকা-চট্টগ্রামের এ সংযোগ সড়ক ভবিষ্যতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যবহৃত হবে। আর সে কারণে এর বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ট্রাফিক চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষমতা এবং গতিশীলতা দরকার। ’

প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ১৪২ মিটারের ইউলুপ নির্মাণ অ্যাপ্রোচ সড়কসহ। ১৭১ মিটারের তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণসহ ভূমি অধিগ্রহণ, একটি ডাবল কেবিন পিকআপ, প্রকল্পের আওতায় ল্যান্ডস্কেপ, ইউটিলিটি সিটিং এবং বৃক্ষরোপণসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা হবে।

প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি হ্রাস করে টেকসই, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (এন-১) এবং কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক (আর-১৪০) দু’টি পদুয়ার বাজারে এসে মিলিত হয়ে চার রাস্তার মোড় তৈরি করেছে। এ মোড়ে ঢাকা-চাঁদপুর, চট্টগ্রাম-কুমিল্লা, কুমিল্লা-চাঁদপুর এবং চাঁদপুর-চট্টগ্রামগামী বিপুল সংখ্যক যানবাহনকে কম-বেশি ৫০০ মিটারের মধ্যে ইউটার্ন করতে হয়। ফলে এ স্থলে অধিকাংশ সময়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করে এবং ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাছাড়া কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা গেইট এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলতলী গেইট স্থলেও তীব্র যানজট দূর করাসহ সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এসব কারণ বিবেচনা করেই প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২১
এমআইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।