ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ: ধারণা পারিবারিক কলহের জের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ: ধারণা পারিবারিক কলহের জের ...

ঢাকা: রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এক মেয়ে পরিবারের বাকি সবাইকে কৌশলে বিষাক্ত কিছু পান করিয়ে হত্যা করেছেন।

শনিবার (১৯ জুন) সকালে কদমতলী মুরাপুরের ২৮ নম্বর রজ্জব আলী সরদার রোডের পাঁচ তলা বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল (২০)।

পুলিশ জানায়, মরদেহগুলো হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিষাক্ত কিছু প্রয়োগের আলামত পাওয়া গেছে। আলামতগুলো পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এ ঘটনায় সংকটাপন্ন অবস্থায় তার অপর মেয়ে মেহজাবিন মুনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তাদের শিশু সন্তানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে শফিকুলকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তাদের শিশুসন্তান আশঙ্কামুক্ত রয়েছে, তাকে ঢামেকের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

অসুস্থ্য শফিকুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা কদমতলির বাগানবাড়ি এলাকায়। শুক্রবার (১৮ জুন) রাত ৯টার দিকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যান। রাতে মেহজাবিনতাদের সবাইকে নুডুলসসহ অনেক কিছু খেতে দেয়। বাসার সবাই খেয়েছে, কিন্তু পরে কি হয়েছে এ বিষয়ে তার কিছুই স্পষ্ট মনে নেই। স্ত্রী মুনের সঙ্গে গত তিন মাস ধরে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। মুনের সঙ্গে তার বাবা-মায়েরও সম্পর্ক ভালো ছিল না বলে জানান শফিকুল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কদমতলী মুরাদনগর এলাকায় একটি বাসায় মাসুদ রানা তার স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। অপর মেয়ে বিবাহিত মুন বাগানবাড়িতে স্বামীর বাসায় বসবাস করতেন।

কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের এক মেয়ে মেহজাবিন সবাইকে বিষাক্ত কিছু পান করিয়ে হত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি এমনটি করতে পারেন। মুনকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে মেহজাবিন মুন পরিবারের সবাইকে খাবারের সঙ্গে বিষপান করিয়ে হত্যা করেছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

>>> কদমতলীতে একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
এজেডএস/পিএম/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।