ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

টিকা মানুষের কাছে নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর ব্যবস্থার সুপারিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:০২, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
টিকা মানুষের কাছে নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর ব্যবস্থার সুপারিশ

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের টিকা যাতে সাধারণ মানুষের কাছে নির্বিঘ্নে পৌঁছায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৮ম বৈঠকে একথা বলা হয়।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এমএ মান্নান, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, হাফিজ আহমদ মজুমদার, বীরেন শিকদার, রওশন আরা মান্নান এবং আদিবা আনজুম মিতা অংশ নেন।

বৈঠকের শুরুতে করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও নিবিড় ব্যবস্থাপনায় অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভাইরাসের টিকা জেলা সরকারি হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে নির্ধারিত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের কাছে যাতে নির্বিঘ্নে পৌঁছায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া বৈঠকে সারভাইক্যাল ক্যানসারের ভ্যাকসিন সরকারি ব্যবস্থাপনায় নারীদের বিনামূল্যে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (ক-স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, খ-স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ) থেকে সমাপ্ত প্রকল্পের উপর বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) দেওয়া মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী গৃহীত ব্যবস্থার বাস্তব অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

১৯ মে, ২০১৯ এ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘২৬৪ চাঁদপুর-৫, ১৩৮ জামালপুর-১, ২২৬ সুনামগঞ্জ-৩, ১৮ লালমনিরহাট-৩ ও ৯২ মাগুরা-২ নির্বাচনী এলাকার জন্য নগরায়ণ সুবিধা বাড়ানোর জন্য গৃহীত পাইলট প্রকল্প’ এর অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) একটি সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে যার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি পুনর্গঠিত প্রকল্প দলিল পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানোর প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন বলে বৈঠকে জানানো হয়।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণতকরণ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্ব)’ এর আওতায় যথা সম্ভব বর্জ্য নিষ্কাশন প্ল্যান্ট পুনঃস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ইনস্টিটিউট ফর পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম ইন বিএসএমএমইউ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যে সব ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে তা সংরক্ষণের জন্য সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় জনবলের সংস্থান করার উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।