ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সুই-সুতোই বিশ্বজয়

গোলাম রাব্বানী নাদিম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
সুই-সুতোই বিশ্বজয়

জামালপুর: জামালপুরের সাত উপজেলার মধ্যে প্রায় পাঁচটি উপজেলাতেই নকশি কাঁথা তৈরি করা হয়। প্রায় ৬০ হাজার মানুষ এ শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে নিজেদের পরিবারে সচ্ছলতা এনেছেন।

ইতোমধ্যেই জামালপুরের নারীদের হাতে তৈরি নকশি কাঁথা, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবিসহ নানা নকশি পণ্যের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে। দেশ-বিদেশে চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে ব্যাপকভাবে প্রসার ঘটেছে এখানকার হস্তশিল্পের।

সরকারিভাবে এই নকশি কাঁথার স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০০ একর জমিতে ৭৭২ কোটি ব্যয়ে জামালপুরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে শেখ হাসিনা নকশি পল্লী।

এ হস্তশিল্পের মাধ্যমে বহু বেকার এবং অশিক্ষিত নারীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাড়তি কিছু আয়ের জন্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে পড়ছেন এ পেশায়।

সুই-সুতায় নানা ডিজাইন, রঙ আর বর্ণে সূচিশিল্পিরা ফুটিয়ে তোলেন নকশি কাঁথা, বেডকভার, শাড়ি, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজসহ নানা পোশাক। মানের দিক থেকে উন্নত আর দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এখানকার নকশি সূচিপণ্য ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের সব বড় শহরের বাজার দখল করেছে। জামালপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৪০০ দোকান রয়েছে।

এসব দোকান থেকে প্রতিটি নকশি কাঁথা বিক্রি হচ্ছে ২০০০-১০০০০ টাকা, বেডকভার ১২০০-৩০০০, কুশন কভার ৫০০-২০০০, পিলো কভার ৩০০-৭০০, শাড়ি ১৫০০-১০০০০, সুতি পাঞ্জাবি ৪০০-২৫০০, সিল্ক পাঞ্জাবি ১৫০০-৩৫০০, থ্রি-পিস ৫৫০-৩০০০, ফতুয়া ২৬০-১২০০, কটি ৪০০-১০০০, ওয়ালমেট ৪০০-১৫০০, ব্যাগ ১৫০-৪০০, পার্স ২৫-২০০, শিশুদের ফ্রক ৩০০-৭০০ টাকায়।

মনি বেগম, আরফোজা, মিলি বেগমসহ বেশ কয়েকজন মাঝারি নারী উদ্যোক্তা বাংলানিউজকে জানান, জামালপুরের উপর নির্ভর করে দেশের প্রায় সবকটি জেলা ও উপজেলাতে নিজেরা শোরুম দিয়েছে। খুচরা বিক্রির চেয়ে পাইকারি বিক্রিই বেশি হয় এখানে। প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে পাঁচ লাখটাকার বেচা-কেনা হয়।

জামালপুর জেলা হস্তশিল্প সমিতির সহ-সভাপতি দেলোয়ারা বেগম বাংলানিউজকে জানান, এখানকার হস্তশিল্পজাত পণ্যের খ্যাতি সারাদেশে রয়েছে। ‍শুধু জামালপুর শহরেই প্রায় ৪০০ উদ্যোক্তা দেশ-বিদেশে এসব পণ্য রফতানি করছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
কেএআর/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।