ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২, ০৮ মে ২০২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

কমলনগরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক সংস্কার!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:১৭, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
কমলনগরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক সংস্কার! সড়ক সংস্কারে কাজ করছে শ্রমিকরা। ছবি: বাংলানিউজ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সংস্কার কাজ করছে ঠিকাদার। দরপত্রের শর্তভঙ্গ করে কাজ করায় স্থানীয়রা তাতে বাধা দেয় এবং কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করে এলাকাবাসী। 

পরে বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিন গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। কয়েকদিন কাজ বন্ধ রেখে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ঠিকাদার শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে ফের কাজ শুরু করেন।

রাতের আঁধারে আবারও নিম্নমানের কাজ করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) কামলনগর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কে ২ হাজার ৫ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়। যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। কাজটি পেয়েছে রেভ আরসি লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তবে কাজটি করছিলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা ঠিকাদার মোহাম্মদ সবুজ। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো শর্ত অনুসরণ না করেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে দায়সারাভাবে কাজ করছিলেন। পরে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সড়ক সংস্কারে কাজ করায় স্থানীয়রা তাতে বাধা দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ওই সড়কের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা বলেন, সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করাসহ নামে মাত্র বিটুমিন ও পাতলা করে কার্পেটিং দেওয়া হচ্ছে। ব্যাপক অনিয়মের মধ্যে দিয়ে নিম্নমানের কাজ হওয়ায় অল্প কয়েকদিনের মধ্যে সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এমনকি দুর্ভোগের অন্ত থাকবে না।

কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন গিয়ে অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে কাজ বন্ধ থাকার কথা। ফের কাজ শুরু হওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। দরপত্রের চুক্তির শর্ত অনুযায়ী রাস্তার কাজ ঠিক মতো বুঝে নেওয়া হবে।

ঠিকাদার সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কিছুদিন তিনি অসুস্থ থাকায়  কাজ বন্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হওয়ায় আবারও কাজ শুরু হয়েছে। কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে কোনো চিঠি পাননি বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
এসআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।