ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

অর্থনীতিতে নীতি সহায়তার নামে অনর্থনৈতিক চর্চা ঢুকে পড়ে: ড. জাহিদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩:১৬, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫
অর্থনীতিতে নীতি সহায়তার নামে অনর্থনৈতিক চর্চা ঢুকে পড়ে: ড. জাহিদ

ঢাকা: অর্থনীতিতে নীতি সহায়তার নামে অনর্থনৈতিক চর্চা ঢুকে পড়ে বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সম্মেলন কক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের লেখা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনীতি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণের বড় বাধা হচ্ছে ব্যবসার উচ্চ খরচ। এর পেছনের প্রধান কারণ হলো, ব্যাংক খাতের দুর্দশা এবং জ্বালানি খাতের সংকট। বন্দরে অনেক দীর্ঘসূত্রিতা আছে। এর পেছনে দায়ী কাঠামোগত সমস্যা। আমাদের কাঠামোগত সংস্কার দরকার।  

তিনি বলেন, আপনারা যদি ব্যবসায়ীদের কাছে যান, তারা বলবে, কাঠামোগত সংস্কার সব ঠিক আছে, আমরা আপনাদের সঙ্গে সম্পন্ন একমত। কিন্তু আমাদের দরকার নীতি সহায়তা। কারণ তারা তাদের ইমিডিয়েট ক্যাশ ফ্লোর দিকেই নজর দেবেন। কাজেই আমাদের একটু ট্যাক্স অব্যাহতি দেন, লোন রিশিডিউল করে দেন। কিছু ক্যাশ ভর্তুকি দেন। এগুলো হচ্ছে নীতি সহায়তা বলে সবার কাছে পরিচিত।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক এ লিড ইকোনমিস্ট বলেন, এখানে খেয়াল করার বিষয় যে, নীতি সহায়তা গোড়ার সমস্যা সমাধান করছে না। নীতি সহায়তা হাই কষ্ট অব বিজনেসকে কম্পেন্সেট করার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ ব্যথা আছে, সেখানে কিছু মলম দিচ্ছি। কিন্তু এটার কোন চিকিৎসা হচ্ছে না। দেখা যায় নীতি সহায়তার নামে অনেক অনর্থনৈতিক চর্চা ঢুকে পড়ে।

বইয়ের লেখকের প্রতি জাহিদ হোসেন প্রশ্ন করে বলেন, আপনাদের সময়ে অনর্থনৈতিক চর্চা কি বন্ধ করতে পেরেছেন, নাকি কিছু যোগও করেছেন?

বিআইডিএসের মহাপরিচালক এ কে এনামুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ-বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান প্রমুখ।  

আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।