ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

শিবিরের প্রোগ্রাম ঘিরে ডেইলি স্টারে আমার বক্তব্য ভুলভাবে প্রচার হয়েছে: ঢাবি প্রক্টর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৩০, আগস্ট ৬, ২০২৫
শিবিরের প্রোগ্রাম ঘিরে ডেইলি স্টারে আমার বক্তব্য ভুলভাবে প্রচার হয়েছে: ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ

ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির চত্বরে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ছাত্রশিবির। এতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত জামায়াত ও বিএনপির প্রয়াত নেতাদের ছবিও টাঙানো হয়।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। পরে ছবিগুলো সরিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

বামপন্থী সংগঠনগুলো প্রক্টরের কাছে শিবিরের এ কর্মসূচির অনুমতি বাতিল করার দাবি জানায়।

এ নিয়ে প্রক্টর শিবির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অনুরোধ জানান। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে অনুমতি নেওয়া এ প্রোগ্রামে অতিথিদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রোগ্রাম স্থগিত করা অসম্ভব বলে জানান শিবির নেতারা।  

এ বিষয়ে বুধবার (৬ আগস্ট) জাতীয় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার বাংলায় ‘প্রক্টরিয়াল আদেশ অমান্য করে ঢাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে শিবির’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, গত রাত থেকে এস এম ফরহাদ, সাদিক কায়েমসহ শিবির নেতাদের সঙ্গে কয়েকবার কথা বলেছি। আমি তাদের কর্মসূচি বন্ধের জন্য জোর দাবি জানিয়েছি। আমরা আজও তাদের অনুমতি দিচ্ছি না এবং আগামীকালও চলতে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

এ নিয়ে ডেইলি স্টারে ছাপানো মূল প্রতিবেদনটি ইংরেজিতে।
সেখানে দেখা যায়, অনুমতি দিচ্ছি না, চলতে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না- এ ধরনের কোনো কথা নেই। বাংলায় এগুলো নতুন করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইংরেজি শব্দ ‘আর্জড’-এর অনুবাদ ‘অনুরোধ’ বা ‘আহ্বানের’ পরিবর্তে ‘দাবি’ লেখা হয়েছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বাংলায় প্রকাশিত সংবাদটি নিয়েই নানা আলোচনা-সমালোচনা করছেন। প্রক্টরের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও শিবির কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শিবির এবং প্রশাসনকে অনেকেই নিন্দা জানাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ওরা হয়তো বক্তব্য বুঝতে ভুল করেছে। মূল প্রতিবেদনটি ইংরেজিতে ছাপানো। সেখানে তেমন সমস্যা নেই। কিন্তু বাংলা অনুবাদে অনেক কিছুই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
প্রক্টর বলেন, এ নিয়ে আমি প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেছি। ঠিক না করলে ডেইলি স্টারের সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলব।

তিনি বলেন, কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপের আবেদনের ভিত্তিতে অনুমোদিত একটি প্রোগ্রাম বন্ধ করার জন্য আমরা জোর করতে পারি না। আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু তারা জানিয়েছে এটি তাদের একাডেমিক প্রোগ্রাম, বন্ধ করা সম্ভব নয়।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।