ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৩ জুন ২০২৫, ১৬ জিলহজ ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

পুরস্কার নাকি তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের জন্যই লন্ডন যাত্রা?

সিফাত বিনতে ওয়াহিদ, স্পেশাল করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:৪১, জুন ১৩, ২০২৫
পুরস্কার নাকি তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের জন্যই লন্ডন যাত্রা? প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফর ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনা দানা বাঁধছে। সফরটি আদৌ কি রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, নাকি ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

 

ব্রিটিশ সংস্থার দেওয়া 'হারমনি অ্যাওয়ার্ড' গ্রহণই কি এই সফরের প্রধান লক্ষ্য, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। আলোচনায় এসেছে, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের চেষ্টাও। যদিও  প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, সফরকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে সবচেয়ে জোরালোভাবে আলোচনা উঠেছে- দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যেই এই সফর কি না?

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরের আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ড. ইউনূস চার দিনের এই সরকারি সফরে বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তার হাত থেকে ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, যা নিশ্চিত করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী।

এছাড়া সফরের অংশ হিসেবে ড. ইউনূস নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত একটি সংলাপেও অংশগ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়।  

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আরও জানানো হয়েছিল, এই সফরে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে, পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়েও জোর দেওয়া হবে। তবে সফরের শুরুতেই ব্রিটিশ প্রটোকলের প্রেক্ষাপটে এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

গণমাধ্যম ও বাংলাদেশ হাই কমিশনের সূত্র অনুযায়ী, ড. ইউনূস লন্ডনে পৌঁছানোর সময় বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে যুক্তরাজ্য সরকারের কিংবা রাজপরিবারের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি ব্রিটিশ প্রথা অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্রীয় অতিথির আগমনে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকেন, এক্ষেত্রে সেই রীতিরও ব্যতিক্রম ঘটেছে। কেবল বাংলাদেশ হাই কমিশনের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানানো হয়। সফরের শুরুতেই এইসব অসঙ্গতি ও প্রশ্নবিদ্ধ পরিস্থিতি যুক্তরাজ্য সফরের উদ্দেশ্য ও কার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ড. ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরের সফরসঙ্গীদের মধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বা ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব না থাকায় এই সফরকে রাষ্ট্রীয় সফর হিসেবে মানতে নারাজ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, যদি দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার কোনো এজেন্ডা থাকত, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেউ না কেউ তো অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হতেন। এর পরিবর্তে এই সফরে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর তার সফরসঙ্গী হওয়ায় পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের বিষয়টি জোর আলোচনায় এসেছে।

তবে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করছেন, ড. ইউনূস আসলে লন্ডনে গেছেন তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যেই। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক মুজতবা খন্দকার এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, "গত দশ মাসে অনেক বাজিয়ে দেখেছেন, তাকে (ড. ইউনূস) আরো কিছুদিন সুস্থিরভাবে সরকারে থাকতে গেলে তারেক রহমানের অনুমোদন লাগবে। কারণ, জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক দল বলতে এখন দেশে একটাই আছে, সেটা হচ্ছে বিএনপি। জামায়াতের কিছু স্ট্রিট ফাইটের শক্তি থাকলেও তার প্রিয় দল এনসিপির জনপ্রিয়তা জাস্ট শূন্যের কোটায়। এখন মব জমাতেও তাদের কাঠ খড় পোড়াতে হবে বিস্তর। নাহিদ, হাসনাতদের সেই ভরা নদীতে এখন চর পড়েছে ইতোমধ্যেই। "

মুজতবা খন্দকার আরও লেখেন, "ইউনূস মূলত লন্ডনে গেছেন তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করে তার সরকারের ইনড্রোসমেন্ট আনতে। পাশাপাশি রাজার কাছ থেকে একটা অ্যাওয়ার্ড। মূল উদ্দেশ্য হলো তারেক রহমানের কাছ থেকে সরকার পরিচালনায় আরও কিছুদিন সময় বাড়িয়ে নেওয়া। একটি দল নির্বাচন চায়-এমন বক্তব্য দেওয়ার পর তিনি বুঝে ফেলেছেন কত বড় ভুল তিনি করেছেন, আর সেটার মাশুল দিতেই তিনি তারেক রহমানকে অনেক অনুনয় বিনয় করে তার সঙ্গে বসতে রাজি করিয়েছেন। "

অন্যদিকে, এই যাত্রার উদ্দেশ্য যা-ই হোক, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এই বৈঠককে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী। দেশের ক্রান্তিলগ্নে এই বৈঠক জাতীয় ঐক্যের পথকে সুগম করবে জানিয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, "প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফর রাষ্ট্রীয় না ব্যক্তিগত, সে বিষয়ে না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে এই সফরে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকটি জাতীয় স্বার্থে একটি বড় উদ্যোগ। আশা করতে পারি, এই সাক্ষাতে অনেক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানো সম্ভব হবে। "

একই মত দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এই বৈঠক আলোচনার জন্য একটি পথ খুলে দিতে পারে এবং রাজনৈতিক দৃশ্যপট পুনর্গঠন করতে পারে।  এছাড়া ভুল বোঝাবুঝি নিরসন, রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা এবং উত্তেজনা নিরসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। "

চারদিনের সফরে প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে যাওয়ার পরপরই গুঞ্জন শুরু হয়, সেখানে অবস্থানরত তারেক রহমানের সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে। যদিও সরকারি সফরসূচিতে এমন কোনো কর্মসূচি ছিল না। এ রকম গুঞ্জনের মধ্যেই মঙ্গলবার (১০ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমানকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বৈঠকটি হবে।  

লন্ডন সফরে মুহাম্মদ ইউনূস যে হোটেলে থাকছেন, সেখানেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। সরকারি সূত্রমতে, সরকার বা প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত আগ্রহেই এই বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং জাতীয় নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে অনিশ্চয়তা, অনাস্থা, অবিশ্বাস, বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা নিরসনে এই বৈঠক একটি বড় অগ্রগতি হতে পারে বলে মত দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলও এই বৈঠককে রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট বলে অভিহিত করেছেন।

বিএনপি মনে করে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যেসব বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তার অনেক কিছুই এই বৈঠকের আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান হতে পারে। যদিও তা নির্ভর করবে এই দুজনের মধ্যে কী আলোচনা হয় এবং তারা পরস্পরের ওপর কতটুকু আস্থা, বিশ্বাস ও সম্মান বজায় রাখতে পারেন, তার ওপর।

জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান দল হওয়া সত্ত্বেও এবং মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে তাদের সক্রিয় ভূমিকা ও সমর্থন থাকার পরেও সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে বিএনপির যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে তা কমে আসবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই সাক্ষাৎ নিতান্তই একজন সরকার প্রধানের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।  

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমান বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী। একজন সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান সরকার প্রধানের আলোচনাটি নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ বা চায়ের আমন্ত্রণে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে মনে করছেন তারা।

এক ইউটিউব বার্তায় সাংবাদিক, শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আনিস আলমগীর বলেন, ইউনূসের পক্ষ থেকে নির্বাচন দেওয়া নিয়ে যে একটা গড়িমসি আছে, তিনি মনে করেন যে জাতিকে উদ্ধার করে ফেলতেছেন নির্বাচনের তারিখ দিয়ে। এই যে মনোভাব, সেটা কিন্তু বিএনপি বোঝে। ড. ইউনূস গদির মজা পেয়ে গেছেন, সেটাও তারা বুঝতে পারছেন। তাই নির্বাচন নিয়ে যে চরম অনিশ্চয়তা আছে, সেই অনিশ্চয়তার মধ্যে তারা যা দেয়, আমার মনে হয় রাজি হবে। আমার ধারণা, ড. ইউনূসের সঙ্গে যে বৈঠক হতে যাচ্ছে, সেটা একটা লেনদেনের বৈঠক হবে। এই এপ্রিল তারিখটা হয়তো নাও থাকতে পারে। সেটা ফেব্রুয়ারির শুরুতে হতে পারে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ হতে পারে, কারণ ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধ থেকে আবার রমজান শুরু হচ্ছে।

রমজানের আগে হয়তো দুই পক্ষ একটা সমঝোতায় আসবে জানিয়ে এই ভিডিওবার্তায় আনিস আলমগীর আরও বলেন, যদি বিএনপি সেটা না মানে, তাহলে বড় ধরনের একটা ডিল তাদের মধ্যে হয়েছে, আমরা ধরে নিতে পারি এবং কারণ এই যে ড. ইউনূসের যেমন চাওয়া আছে, বিএনপিরও চাওয়া আছে। বিএনপি জানে যে কয়দিন পরে তারা ক্ষমতায় যাবে। ড. ইউনূসের চাওয়া হচ্ছে এখন এই মুহূর্তে একটা সেফ এক্সিট পাওয়া। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি এবং তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে- এমন একটা সমঝোতা হতে পারে, এটাও বলা হচ্ছে কারো কারো তরফ থেকে।

যদিও চলতি যুক্তরাজ্য সফরে লন্ডনের প্রভাবশালী নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত নীতি সংলাপে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের অংশ হতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ড. ইউনূস। ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে এবং একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে, আপনি কি সেই সরকারের অংশ হতে আগ্রহী? জবাবে দুই হাত নেড়ে হাস্যোজ্জ্বল ড. ইউনূস বলতে থাকেন, ‘নো ওয়ে, নো ওয়ে (একদমই না)। আমার মনে হয়, আমাদের মন্ত্রিসভার কেউই নতুন সরকারের অংশ হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন না। ’

সার্বিক বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে, ড. ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফর শুধুই একটি পুরস্কার গ্রহণ বা আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সফর নয়, বরং এই সফর বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনের সম্ভাব্য কৌশলগত পদক্ষেপ বলেই রাজনৈতিক মহলে আলোচিত হচ্ছে। তবে এ আলোচনা বাস্তবতা পাবে কি না, তা নির্ভর করবে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের ধরন, আলোচনার বিষয়বস্তু এবং পরবর্তী ঘোষণার ওপর।

এসবিডব্লিউ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।