ঢাকা: ঈদের চতুর্থ দিনেও বাড়ি ফিরছে মানুষ। ছুটছে নাড়ির টানে স্বজনের কাছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর গাবতলী-মহাখালী টার্মিনাল ও কল্যাণপুর বাস কাউন্টারগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যারা বাড়ি যাচ্ছেন তারা ঈদের আগে বাড়ি যেতে পারেননি। বাড়িমুখী এসব মানুষ অফিস বা নিজ ব্যবসার ব্যস্ততা, কারখানা বা অন্য কর্মস্থল থেকে ছুটি না পাওয়ার কারণে বাড়ি যাননি। আবার অনেকে এখন বাড়ি যাচ্ছেন ঈদের বাড়তি খরচ জোগাতে না পেরে। গাবতলীতে ১২ জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বেল্লাল হোসেন তাদের একজন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের মধ্যে অফিসে ছুটি না পাওয়ার কারণে বাড়ি যেতে পারেননি। ঈদের মধ্যেও তার প্রতিষ্ঠান চালু ছিল। এখন বাড়ি যাচ্ছেন। গাবতলীতে এসেই গাড়ির সিট পেয়ে গেছেন। বাড়তি ভাড়াও লাগেনি।
আবু জার বনানীর একটি ভবনের ম্যানেজার। ঈদের ছুটিতে ভবনে ডিউটি করেছেন। এখন বাড়ি যাচ্ছেন। আবু জার বলেন, মাকে নিয়ে বনানীতেই কর্মস্থলে থাকি। প্রতিষ্ঠানের সুবিধা-অসুবিধা দেখতে হয়। এখন বাড়ি যাচ্ছি। ঈদ বোনাসসহ ওভার টাইমের টাকা পেয়েছি। এখন আনন্দ করবো। তবে ঈদের মধ্যে যে আনন্দ হয়, সেই আনন্দ হবে না।
হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার উজ্জ্বল বলেন, এখন যাত্রী কম, আগের স্বাভাবিক ভাড়াই নিচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চল বরিশালে যাওয়া গাড়ির সংখ্যাও আগের মতো আছে। তবে যাত্রী কম। ঈদের ছুটিতে ভাড়ার পরিমাণ যেমন কিছুটা বেড়েছিল, বেড়েছিল যাত্রীর সংখ্যাও।
তিনি আরও বলেন, ঈদে ঢাকা থেকে বাইরে যাওয়ার যাত্রী বেশি ছিল, আসার সময় বাস খালি এসেছে। আবার এখন যাওয়ার যাত্রী কম, আসার সময় বেশি আসছে।
যাত্রী কম কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরমুখী শ্যামলী পরিবহনের। তবে আগে যেমন সাত থেকে আটটি গাড়ি যেত, এখনও তাই যাচ্ছে। গাড়ির মোট সিটের এক-চতুর্থাংশ ফাঁকা যাচ্ছে। কোনো কোনো এলাকার পরিবহনের সিট আরও বেশি ফাঁকা যাচ্ছে।
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার রাসেল বলেন, ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরগামী গাড়ির ভাড়া স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে। শ্যামলী কোচের স্বাভাবিক ভাড়া ৬৫০ টাকা। কোনো যাত্রীর কাছে ভাড়া ৫০ টাকা কম থাকলে তাকেও আমরা নিয়ে যাচ্ছি। গাড়ির সিট ফাঁকা যাচ্ছে, তাই কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেক্রিফাইস করছি। এখন লক্ষ্য হলো বাড়ি থেকে ঢাকাগামী মানুষকে ঠিকমতো বহন করে আনা।
গাবতলীতে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আইনাল হক আসিফ বলেন, সোহাগ পরিবহনের ঢাকা থেকে খুলনাগামী গাড়ির অর্ধেক আসন ফাঁকা যাচ্ছে। ভাড়া ৬৫০ টাকা আগে নেওয়া হতো, এখনও একই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
জেডএ/আরবি