ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

বিনিয়োগ নীতি প্রণয়নে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের তাগিদ দিয়ে চিঠি লুৎফে সিদ্দিকীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৪৬, মে ১৯, ২০২৫
বিনিয়োগ নীতি প্রণয়নে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের তাগিদ দিয়ে চিঠি লুৎফে সিদ্দিকীর লুৎফে সিদ্দিকী। ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টিতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সমন্বয়ের তাগিদ দিয়ে সব মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী ও সচিবদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) লুৎফে সিদ্দিকী।

সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনি অবগত আছেন যে, দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

দেশের বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গত ৭ থেকে ১০ এপ্রিল সময়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। সামিটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নীতি সহায়তা প্রদান, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আইন ও বিধিমালা সংশোধন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সামিটে অংশগ্রহণকারী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা অবহিত হয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, আইসিটি, সমুদ্র বন্দর, টেলিযোগাযোগ ও পরিবেশ ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ফলে সংশ্লিষ্ট খাতে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো পলিসি প্রণয়নের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে এর কী কী প্রভাব পড়বে তা বিশদভাবে পর্যালোচনা করার লক্ষ্যে বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/দপ্তর/সংস্থাগুলোর মধ্যে (যেমন- শিল্প, বাণিজ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, নৌ-পরিবহণ, পরিবেশ ও বন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) সমন্বয় অপরিহার্য।

লুৎফে সিদ্দিকী চিঠিতে আরও লিখেছেন, স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা অংশীজনের সাথে অংশগ্রহণমূলক ও ফলপ্রসূ আলোচনা ছাড়া কোন পলিসি প্রণয়ন করা হলে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হবার আশঙ্কা থেকে যায়।  

এছাড়া বিনিয়োগকারীরা এক্ষেত্রে 'হোল অব গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ' দেখতে আগ্রহী, তা না করে কোনো নীতি ঘোষণা করলে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন। রুলস অব বিজনেসসের ১০(১) বিধিতেও রাষ্ট্রীয় জরুরি ইস্যুগুলোতে ইন্টার মিনিস্ট্রিয়াল কনসালটেশনের এর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ প্রেক্ষাপটে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত পলিসি প্রণয়নে আন্তঃমন্ত্রণালয় যথাযথ সমন্বয়ের প্রতি উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী ও সচিবদের সুদৃষ্টি কামনা করেন। একই সঙ্গে উক্ত বিষয়ে কোন সহায়তা প্রয়োজন হলে সানন্দ চিত্তে তা করতে প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনি।  

জিসিজি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।