ঢাকা, শুক্রবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৬ মে ২০২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীতে মধুমাস জ্যৈষ্ঠের প্রথমদিনই আম পাড়া শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৫৬, মে ১৫, ২০২৫
রাজশাহীতে মধুমাস জ্যৈষ্ঠের প্রথমদিনই আম পাড়া শুরু মধুমাস খ্যাত জ্যৈষ্ঠের প্রথমদিনই গাছ থেকে নামানো হচ্ছে গুটিজাতের আম।

রাজশাহী: ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী রাজশাহীতে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে। মধুমাস খ্যাত জ্যৈষ্ঠের প্রথমদিনই গাছ থেকে নামানো হচ্ছে গুটিজাতের আম।

আর এর মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে শুরু হলো বিশাল আমযজ্ঞ।

গুটিজাতের এই আম অতটা মিষ্টি ও সুস্বাদু নয়। তবে মৌসুমের প্রথম হিসেবে রাজশাহীতে এই আমের কদর থাকে তুঙ্গে। টক-মিষ্টি স্বাদের আঁশযুক্ত এই আম তাই রাজশাহীর বাজারে নামতেই শুরু হয়ে যায় কেনা-বেচা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজশাহীর বিভিন্ন বাগানে আম পাড়া হচ্ছে। দুপুর গড়াতেই সেই আম পৌঁছে যাচ্ছে স্থানীয় হাট-বাজারে। এ বছর মৌসুমের শুরতেই গুটিজাতের আম ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা মণ দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই গুটিজাতের আম।

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ঘোষিত ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী ১৫ মে থেকে সব ধরনের গুটি আম নামাতে পারছেন চাষিরা। এর আগে গেল বছর আম পাড়ার শুরুর সময়ও ছিল এই ১৫ মে। তার আগের বছর ছিল ৪ মে। এ ছাড়া ২০২২ সালে ছিল ১৩ মে থেকে।

এ বছরের ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী আগামী ২০ মে থেকে শুরু হবে জাত আম খ্যাত মিষ্টি ও সুস্বাদু গোপালভোগ। ওইদিনের পর রানীপছন্দ, লক্ষ্মণভোগ আম পাড়া যাবে ২৫ মে থেকে। এ ছাড়া হিমসাগর বা খিরসাপাত ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন, ৫ জুলাই বারি আম-৪, আশ্বিনা ১০ জুলাই, গৌড়মতি আম ১৫ জুলাই থেকে পাড়া যাবে। এ ছাড়া সারা বছরই পাওয়া যাবে রাজশাহীর বারোমাসী আম হিসেবে পরিচিত কাটিমন ও বারি আম-১১।  

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) সালমা আক্তার জানিয়েছেন, রাজশাহীতে এ বছর আমের আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে। এর থেকে আমের সম্ভাব্য গড় উৎপাদন ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ২৬ টন। আমের সম্ভাব্য মোট উৎপাদন ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ টন। এ ছাড়া আমের সম্ভাব্য মোট বিক্রি ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯৫ কোটি ৮৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬২০ টাকা।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার জানান, বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের গুটি আম পাড়তে পারছেন চাষিরা। তবে যদি কোনো ধরনের দুর্যোগ হয়, সেক্ষেত্রে চাষিরা নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) অনুমতি নিয়ে গাছ থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেও আম নামাতে পাড়বেন। জেলা প্রশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে- রাজশাহীর বাগানগুলো থেকে পরিপক্ব ও নিরাপদ আম নামানো এবং বাজারজাতকরণ করা।  

এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।