ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটে ভাটার সময় চলে না ফেরি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:০১, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫
লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটে ভাটার সময় চলে না ফেরি লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটে আটকে আছে ছিল

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট থেকে ভোলার ইলিশাগামী ফেরি চলাচল করে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে। মেঘনা নদীতে যখন ভাটা থাকে, তখন ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হয়।

এসময় নদীতে পানির গভীরতা না থাকায় ফেরি চলাচল করতে পারে না।  

ফলে দীর্ঘ সময় ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হয় যানবাহনগুলোকে। এতে দুর্ভোগ বাড়ে। আবার কোনো কোনো সময়ে নদীতে ফেরি চলাচলের উপযোগী পানি থাকলেও ঘাটে যানবাহন সংকট থাকে।  

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে জোয়ার না থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘাটে কুসুমকলী নামে একটি ফেরি নোঙর করা আছে। এছাড়া ঘাটে পণ্যবাহী কিছু যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।  

এদিন ভোর ৭টার দিকে ভোলার উদ্দেশ্যে একটি ফেরি ছেড়ে গেলেও এরপর বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো ফেরি আর ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি।  

এদিকে ভাটা চলাকালীন নদীতে পানির গভীরতা না থাকায় নাব্যতা সংকটকে দায়ী করা হচ্ছে। অন্যদিকে রহমতখালী চ্যানেলে ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান থাকলেও নদীর গভীরতা না বাড়ায় ভাটার সময়ে তা কোনো কাজে আসছে না বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।  

স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ বলেন, রহমতখালী চ্যানেলে বালুর ভলগেট এবং বালু ড্রেজারের মেশিন বসানোর কারণে পলি জমে যাচ্ছে।  

ফেরি পার হতে আসা একজন ট্রাকচালক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৭টার দিকে ঘাটে এসে বসে আছি। মালামাল নিয়ে ভোলায় যাব। নদীতে ভাটা, তাই ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।  

ঘাট সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-মজুচৌরীর হাট থেকে ভোলার ইলিশ রুটে কুসুম কলী, কাবেরী, বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল নামে চারটি ফেরি চলাচল করছে।  

মজুচৌধুরীর হাট ফেরি ঘাটের সহকারী স্টেশন ম্যানেজার রেজাউল করিম রাজু বলেন, ভাটার সময় নদীতে পানির গভীরতা না থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৫
এসআরএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।