ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জামায়াত নেতা হত্যা

মেহেরপুরে সাবেক এসপি নাহিদের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
মেহেরপুরে সাবেক এসপি নাহিদের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

মেহেরপুর: মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলি গ্রামের জামায়াত নেতা ও ইউপি মেম্বার আব্দুল জব্বারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।

মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) একেএম নাহিদসহ পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৬ জনকে আসামি করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর আমলি আদালতে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে তৎকালীন পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলামকে।  

এ নিয়ে সাবেক পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলামের নামে মেহেরপুর আদালতে দুইটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলো।

জানা যায়, ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা আব্দুল জব্বারকে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ তার বাড়ি থেকে আটক করে। রাতে তাকে গুলি করে হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধ হিসেবে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি আসামিরা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা ও অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধারের নাটক সাজায় আসামিরা।

আসামিরা হলেন- তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোমিন মজুমদার, ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম, সদর থানার এসআই শরজিদ কুমার ঘোষ, এসআই গাজী ইকবাল হোসেন, কনস্টেবল সাধন কুমার ও নারদ কুমার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম। এছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।  

এর আগে নিহত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল মালিতা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে এফআইআর নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত আব্দুল জব্বার জামায়াতের তৃণমূলে নেতা এবং আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) ছিলেন।

মামলার আরও বলা হয়, আব্দুল জব্বারের পাশাপাশি তার ছেলেকেও গ্রেপ্তার করে সদর থানা হাজতে রাখা হয়। পরে ছেলেকে একটি মামলা আদালতে সোপর্দ করা হলেও আব্দুল জব্বারকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শেষে বুকে পিঠে গুলি করে হত্যা করা হয়।  

প্রসঙ্গত, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ভাই। এ মামলাটিরও প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।