ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার ট্রাফিক পরিদর্শকের ছোট ভাই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৪
চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার ট্রাফিক পরিদর্শকের ছোট ভাই

কুমিল্লা: কুমিল্লা নগরীর চিহ্নিত চাঁদাবাজ আবদুল হাসান চৌধুরী অপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ মে) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

এর আগে শুক্রবার রাতে মোগলটুলির নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপু কুমিল্লার ট্রাফিক পরিদর্শক জিয়াউল হক চৌধুরী টিপুর ছোট ভাই।

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, অপুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে আট থেকে নয়টি মামলা রয়েছে। এতদিন জামিনে ছিলেন তিনি।

নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাকিল আহমেদ রানা বলেন, অপু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ৫ নম্বর ওয়ার্ডে যারাই নতুন বাড়ি নির্মাণ কিংবা সংস্কার করেন তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। এই চাঁদাবাজ চক্রটিও আমার সঙ্গেও একই আচরণ করেছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২২ মে রাত ১১টার দিকে অপু ও তার সঙ্গীরা গাড়ি থামিয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসি। এরপর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও বলেন, শুধু চাঁদাবাজিই নয়, অপু নিজেকে সার্জেন্ট পরিচয় দিতেন। তার থেকে বাড়ির নির্মাণ সামগ্রী কেনার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। নির্মাণ সামগ্রী না কিনলে ট্রাক আটক করে তার পুলিশ পরিদর্শক ভাইয়ের কাছে নিয়ে যেতেন।

এর আগে শাকিল আহমেদ রানা তার ওপর হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টটি শেয়ার করেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা। তিনি সেখানে চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে মেয়র সূচনা বলেন, অপু একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তার বিষয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যারাই এই নগরীতে চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করবে তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।  

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, অপুর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। প্রতিনিয়ত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করেন তিনি। তার সাঙ্গপাঙ্গরা খোঁজখবর নেয় কে বাড়িঘর তৈরি করছে। পরে অপু আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে চাঁদাবাজি করেন। তিনি পূর্বেও চাঁদাবাজি করে জেল খেটেছেন।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক জিয়াউল হক টিপু বলেন, অপু আমার আপন ছোট ভাই নয়। এলাকার ছোট ভাই। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি নিয়ে তার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, অপু নিজেকে ট্রাফিক সার্জেন্ট পরিচয় দেয় এ কথা আগে শুনিনি। তার ভাই ট্রাফিক পরিদর্শক জিয়াউল কি-না এ বিষয়টিও আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৪

এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।