ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণার পরিকল্পনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণার পরিকল্পনা

ঢাকা: চলতি বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী তাপপ্রবাহের পর এই প্রতিকূল পরিস্থিতিকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

চলতি মৌসুমে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠে, যা ছিল ১৯৮৯ সালের পর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা নেওয়া এবং তাপমাত্রা নির্ধারণ করে তাপপ্রবাহকে ‘দুর্যোগ’ হিসেবে ঘোষণারও সুপারিশ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত মাসে তাপপ্রবাহের সময় আমরা সারা দেশে পানি, স্যালাইন, ছাতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তাপপ্রবাহ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি ও সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে এলাকায় আমরা দুটি ক্যাম্প করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এ দুটি স্থান থেকে পানি, স্যালাইন, ছাতাসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। মানুষ এখানে আশ্রয় নিতে পারতো। সব প্রস্তুত ছিল, কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় তা আর হয়নি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাপপ্রবাহের মাত্রা হয়তো দিন দিন আরও বাড়তে পারে। আমরা এটা মানানসই করতে চাই। এটাকে দুর্যোগ ঘোষণা করা হবে। কোনো কিছু করতে হলে তো প্রস্তুতি নিতে সময় লাগে। ভবিষ্যতে তাপপ্রবাহ হলে তা মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের সব প্রস্তুত আছে।

কোন পরিস্থিতিতে দুর্যোগ ঘোষণা করা হবে- জানতে চাইলে মহিববুর রহমান বলেন, আমাদের যে পরিবেশ-পরিস্থিতি তাতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ মার্চ রাজশাহী ও পাবনায় মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ধীরে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও আওতা বাড়তে থাকে। ১৩ এপ্রিল রাঙ্গামাটিতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। ওইদিন চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়। ২০ এপ্রিল বিভিন্ন জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে অর্থাৎ তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করে। ওইদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়। মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ প্রায় সারা দেশে বিস্তৃত হয়। এ সময়ে জনজীবনের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২৯ এপ্রিল ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যা ছিল চলতি মৌসুমে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া ৩০ এপ্রিল যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠে, যা ছিল ১৯৮৯ সালের পর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
এমআইএইচ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।