ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ব্রিজের মাঝখানে গর্ত, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

মো. নিজাম উদ্দিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৪
ব্রিজের মাঝখানে গর্ত, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

লক্ষ্মীপুর: ব্রিজের মাঝে কংক্রিটের ঢালাই ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তের ওপর কাঠ বিছিয়ে দেওয়া রয়েছে তার ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

 

এমন চিত্র লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের আমিন বাজার ওয়াপদা খালের ওপরের ব্রিজটির।

দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে স্থানীয়দের উদ্যোগে গর্তটি কাঠ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।  

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক নির্মিত এ ব্রিজটি দিয়ে এখন ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল করছে।  

স্থানীয়রা জানায়, ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে সদর উপজেলার মান্দারী বাজার থেকে তেয়ারীগঞ্জ, মৌলভীর হাট, ফরাশগঞ্জ, ভবানীগঞ্জসহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াত করে। ট্রাক, পিক-আপ, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে এ ব্রিজ দিয়ে।  

তারা আরও জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনা এড়াতে সংস্কারের দাবি তাদের।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, আমিন বাজার ও ওয়াপদা বাজারের মাঝামাঝি ওয়াপদার খালের ওপরে নির্মিত ব্রিজটির দক্ষিণাংশের মাঝখানে কংক্রিটের ঢালাই ভেঙে বড় আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে। ব্রিজের ভাঙা অংশ দিয়ে দীর্ঘদিন ঢালাই বিহীন রডের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। স্থানীয়দের উদ্যোগে ভাঙা অংশে কাঠ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ব্রিজটি জরাজীর্ণ হয়ে আছে। তিন বছর আগে ব্রিজের দক্ষিণ অংশের কয়েকটি স্থানে কংক্রিটের ঢালাই সরে গর্তের সৃষ্টি হয়। আমি জনপ্রতিনিধি থাকাকালীন তখন নিজ‌ উদ্যোগে মেরামত করি। পরে ব্রিজের অন্য স্থানে গর্তের সৃষ্টি হলে শুরুতেই মেরামত না করায় কংক্রিট ভেঙে বড় গর্ত হয়ে গেছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এটি দ্রুত মেরামত না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।  

এ বিষয়ে জানতে লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হকের মোবাইলে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও সারা পাওয়া যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।