ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হত্যা মামলায় আসামি একাধিক আ.লীগ নেতা, প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
হত্যা মামলায় আসামি একাধিক আ.লীগ নেতা, প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন 

বরিশাল: বরিশালের হিজলা উপজেলার ধূলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জামাল মাঝি হত্যা মামলা ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।  

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টায় মেহেন্দিগঞ্জ সদরের পাতারহাট বন্দরের তেমুহনী চত্বরে আয়োজিত এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন খান।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাব আহমেদ, সহ-সভাপতি মুকিম তালুকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ভুলু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য সৈয়দ মনির প্রমুখ।  

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হিজলার ধূলখোলা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মাঝি হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্র করে একই দলীয় নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জামাল মোল্লা, আব্দুল হালিম মিলন চৌধুরী, আমিরুল ইসলাম বেলাল মোল্লা এবং হিজলা উপজেলার আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জামাল উদ্দিন ঢালীসহ (ইউপি চেয়ারম্যান) অনেকেই রয়েছেন। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক। তাই ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।  

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।  

প্রসঙ্গত, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পংকজ নাথের অনুসারী জামাল মাঝির রক্তাক্ত মরদেহ গত ১৬ মার্চ হিজলার পালপাড়া গ্রামের মেঘনা নদী তীরবর্তী একটি সয়াবিন ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে ১৯ মার্চ এ ঘটনায় নিহত জামালের স্ত্রী আখিনুর বেগম বাদী হয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ ৭৫ জনের নামে মামলা করেন। মামলার বেশিরভাগ আসামি সংরক্ষিত আসনের এমপি ড. শাম্মী আহমেদের অনুসারী বলে দাবি করা হচ্ছে।  

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জামাল মাঝি ধূলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ‍তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের অনুসারী। আসামিরা ভিন্ন অনুসারী হওয়ায় তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জামাল মাঝির বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে কিছুদিন আগে জামাল মাঝির ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা করেন জামাল মাঝি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জামাল মাঝিকে হত্যা করা হয়।  

আর মামলার বাদী আখিনুর বেগমের দাবি হিজলা উপজেলার আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ঢালীর নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী (মামলার অপর আসামিরা) জামাল মাঝিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সেই সঙ্গে হত্যা মামলা দায়েরের পর তাদের পরিবারের সদস্যদের নানানভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।