ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অপরাধী শনাক্ত করবে সিসি ক্যামেরা: সিসিক মেয়র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
অপরাধী শনাক্ত করবে সিসি ক্যামেরা: সিসিক মেয়র

সিলেট: নির্বাচিত হয়ে স্মার্ট নগরী উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এ কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নগরের পরিচ্ছন্নতা ও ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করে চমক দেখিয়েছেন।

এবার ঈদের আগেই নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জিরো টলারেন্সে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।  

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১০টি সিসি ক্যামেরার উদ্বোধন করেন সিসিক মেয়র।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসএমপি কমিশনার জাকির হোসেন খান।  

সিসিক মেয়র বলেন, অন্যান্য স্থানের তুলনায় সিলেট নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। এরপরও আমরা জিরো টলারেন্সে আনতে চাই। এজন্য ১১০টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আরও ৭০টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসবে। পর্যায়ক্রমে বাজেট পাওয়া সাপেক্ষে ৪২টি ওয়ার্ডকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সিলেট নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসেন। সেটিকে আরও আধুনিকায়ন করে স্মার্ট সিলেট নগরী গড়তে কাজ করে যাচ্ছি।  

সিসিক মেয়র বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ আগের থেকে অনেক আধুনিক। সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনীকে একটি শক্তিশালী বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথ্যপ্রযুক্তির দিকে খুবই স্মার্ট হয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক স্পর্শকাতর ঘটনাও এখন সমাধান করা যায়, যা কয়েক বছর আগেও সম্ভব ছিল না। এ নজরদারি সিস্টেম প্রকল্প সিলেট নগরীকে আরও স্মার্ট নগরীতে পরিণত করবে এবং স্মার্ট সেবা দিতে সবার সহজ হবে।

পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান বলেন, অপরাধী শনাক্তকরণে ১০ ফেস ক্যামেরা এবং অপরাধে ব্যবহৃত যানবাহন শনাক্তকরণে ১০টিসহ ১১০টি ক্যামেরার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।  

সিসিক ও এসএমপি সূত্র জানায়, ডিজিটাল সিটি গঠনের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালে নগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১১০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। এর মধ্যে ছিল ১০টি ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা। ক্যামেরাগুলো বসানোর পর অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ধীরে ধীরে অধিকাংশ ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ে। মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নিতে কয়েকবার অনুরোধ জানালেও তৎকালীন সময়ে সিটি করপোরেশন তাতে সায় দেয়নি। ফলে ডিজিটাল নগরীর ক্যামেরাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর এসএমপির পক্ষ থেকে ফের একই অনুরোধ জানানো হয়। বিষয়টি জানার পর নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেরামতের মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে এসএমপি কমিশনার গণমাধ্যমকে বলেন, ক্যামেরাগুলো সচল হওয়ার পর এখন থেকে নগরীতে অপরাধ কমে আসবে। ক্যামেরার আওতাভুক্ত এলাকায় কোনো অঘটন ঘটলে ফুটেজ দেখে জড়িতদের সহজেই শনাক্ত করা যাবে। অপরাধ কর্মকাণ্ডের পর অপরাধীর অবস্থানও শনাক্ত সম্ভব হবে।  

এছাড়া নগরের যানজটের অবস্থাও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা যাবে। কোথাও যানজট বেশি হলে মনিটরিং রুম থেকে তাৎক্ষণিক পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে অবগত করা হবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করতে এসএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পুলিশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সংস্কার করে সচল করা হয়েছে। এখন থেকে পুলিশ ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করবে।  

অনুষ্ঠানে এসএমপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।