ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: ড. ইউনূসের আইনজীবী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: ড. ইউনূসের আইনজীবী

ঢাকা: আজারবাইজানে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাওয়া এক পুরস্কার নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বক্তব্যকে দুঃখজনক বলেছেন তার আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি সম্মেলনে ড. ইউনূসকে সম্মাননা স্মারক ‘ট্রি অব পিস’ দেন ইসরাইলি ভাস্কর ও ইউনেস্কোর সদস্য হেদভাসার।

গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে পদাধিকার বলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফর কমিশন ফর ইউনেস্কোর (বিএনসিউ) চেয়ারম্যান আমি। আমার সাথে বিএনসিইউয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জুবাইদাও উপস্থিত আছেন। কিছুদিন আগে একটি প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেটি হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো একটি পুরস্কার দিয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে তারা নিশ্চিত করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কোনো সম্মাননা দেননি।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি সম্মেলনে গজনভী ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থার আমন্ত্রণে ইউনূসকে সম্মাননা স্মারক দেন ইসরাইলি ভাস্কর হেদভাসার। তিনিও নিশ্চিত করেছেন ইউনূসকে ইউনেস্কো কোনো সম্মাননা দেয়নি। গজনভী ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ইউনূসকে তিনি এটা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন ইউনেস্কোর কাছে আমরা একটি ব্যাখ্যা পাঠাব। ইউনূস সেন্টার ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে যে সংবাদটি প্রচার হয়েছে, সেটা প্রতারণামূলক ও সর্বৈব মিথ্যা। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ভাষাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ড. ইউনূস একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। সেখান থেকে কোনো প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়নি। প্রেস রিলিজ হয়তো এখানের (ইউনূস সেন্টার) একজন কর্মচারী দিয়েছেন যে তাকে (ড.ইউনূস) একটা পুরস্কার দিয়েছেন। আমরা এখনো জানি না। তিনি এলে (ড. ইউনূস বিদেশ থেকে ফিরলে) হয়তো এটা বলতে পারবেন। সেখানে হয়তো একটা ভুল ভ্রান্তি। এটাকে বলা হচ্ছে প্রতারণা। কতিপয় মিডিয়া ড. ইউনূসের পজিটিভ দিক আলোচনা না করে কোথায় গন্ধ পাওয়া যায়, কোথায় কোন জিনিস পাওয়া যায় সেটাকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এটা করা হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, সম্মেলন হয়েছে এটা সত্য। পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে এটা সত্য। সেখানে পৃথিবীর নয়জন সাবেক রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের প্রেসিডেন্ট তাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গেছেন এটা সত্য। সেখানে ইসরায়েলি একজন ভাস্কর ইউনেস্কোর সদস্য তাকে পুরস্কার দিয়েছেন। সেটা নিয়ে এখান থেকে (ইউনূস সেন্টার) কেরানি টাইপের একজনের দেওয়া প্রেস রিলিজ তার নামে চালিয়ে এ ধরণের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, কংগ্রেশনাল পুরস্কার পেয়েছেন, উনার ইউনেস্কোর পুরস্কারের জন্য জালিয়াতির করার কোনো প্রশ্ন আছে? যেখানে একটা সমুদ্র সেখানে একটা পুকুর চুরি করতে আসে? যার অবস্থান একটা মহাসমুদ্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
ইএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।