ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খলিলের দোকানে মাংসের কেজি ৫৯৫ টাকা, তবুও ক্রেতাদের অভিযোগ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৪
খলিলের দোকানে মাংসের কেজি ৫৯৫ টাকা, তবুও ক্রেতাদের অভিযোগ  মাংস কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। শুক্রবারের (১৫ মার্চ) ছবি

ঢাকা: রমজান মাস উপলক্ষে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছে রাজধানীর শাহজাহানপুরের ‘খলিল গোস্ত বিতান’। যেখানে অন্যান্য দোকানে মাংসের মূল্য ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি।

 কম দামে মাংস বিক্রি করায় দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই মাংস কিনতে ভিড় জমিয়েছেন খলিলের দোকানে। ফলে দিনে প্রায় অর্ধ শতাধিক গরু জবাই করতে হচ্ছে এই দোকানে।

তবে ক্রেতাদের মধ্য থেকে অনেকের অভিযোগ, কম দামে বিক্রি করলেও খলিলের দোকানে প্রতিকেজি মাংসে পরিমাণের তুলনায় হাড় ও চর্বি বেশি দেওয়া হয়। পাশাপাশি দোকানে দীর্ঘ লাইনের কারণে ক্রেতাদের মাংস কিনতে অনেক সময় লেগে যায়। মাংসের মানও আগের মতো নেই।

এসব অভিযোগ এনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ক্রেতাদের একটি অংশ।  

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে খিলগাঁও শাহজাহানপুরের ফ্লাইওভারের পাশে খলিল গোস্ত বিতানে গিয়ে দেখা যায়, এক পাশে গরু কাটছেন কসাইরা, অন্য পাশে লাইন দিয়ে মাংস কিনছেন ক্রেতারা। ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন ফ্লাইওভারের গোড়া পর্যন্ত চলে গেছে। এদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ২৮টি গরু জবাই দেওয়া হয় খলিলের গোস্ত বিতানে।

ছুটির দিন উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য ৪০টি গরু জবাইয়ের উদ্দেশ্য আনা হয়েছে বলে জানান খলিলের দোকানের এক কসাই আমিনুল ইসলাম আমিন।  

খলিলের দোকান থেকে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস কিনছেন ক্রেতা

খলিলের দোকানের মাংসের একজন ক্রেতা শাহজানপুর বেনজীর বাগানের বাসিন্দা মো. মোতালেব বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতিনিয়ত খলিলের দোকান থেকে গরুর মাংস কিনি। আগে একটা সময় খলিলের মাংসের মান ছিল খুবই ভালো। কারণ তখন দেশি গরু জবাই দেওয়া হতো। কিন্তু যখন থেকেই খলিল ৫৯৫ টাকা প্যাকেজে গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছে তখন থেকেই মান একদম পড়ে গেছে। আমি আজ সকালে দেড় কেজি গরু মাংস নিই। এলাকার দোকান থেকে মেপে দেখেছি সেখানে ৬০০গ্রাম চর্বিই ছিল, আর হাড় ছিল বড় ২ পিস, মাংস ছিল ৮০০ গ্রামের মতো। তাও সাদা মাংস, দেশি গরুর যেমন লাল মাংস হয় তেমন না, মান খুবই নিম্ন মানের। খলিল বিখ্যাত ছিল দেশি গরুর মাংসের জন্য, কিন্তু এখন দেশি গরু পাওয়া যায় না।  

দক্ষিণ বনশ্রী থেকে খলিলের দোকানে মাংস কিনতে এসেছেন মেহেদি হাসান সৌরভ।  

কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, তিন কেজি মাংস নিতে এসেছি। এখানকার মাংসের দাম অনেক কম, তাই এসেছি। তবে লাইন অনেক লম্বা, যে কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি মাংস কেনার জন্য। আজ মাংস কিনতে পারব কিনা জানি না।

মাংস মেপে ক্রেতাদের ব্যাগে তুলে দিচ্ছিলেন কসাই মো. হিরণ।  

সরকার নির্ধারিত নিয়মে প্রতিকেজি মাংসে ২৫০ গ্রাম হাড় ও চর্বি বাকি ৭৫০ গ্রাম মাংস দেওয়ার কথা মানা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা হাড় মাংস সব একত্রে মিশিয়ে বিক্রি করি। ফলে এখানে প্রতিকেজিতে ২৫০ গ্রাম হাড় চর্বি মেপে দেওয়া সম্ভব না, কাস্টমারের ভিড় বেশি থাকে তাই। তবে ক্রেতাদের যে মাংস দেওয়া হয় সেখানে হাড়-চর্বি ২৫০ গ্রামের কম থাকবে এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। তবে দু-একটি ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটতে পারে।   

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৪
ইএসএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।