ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘ভাতের হোটেল’ মন্তব্যকে ইতিবাচক বললেন ডিবিপ্রধান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
‘ভাতের হোটেল’ মন্তব্যকে ইতিবাচক বললেন ডিবিপ্রধান

ঢাকা: মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ নানান কাজে আসেন। তাদের মধ্যে অনেককে ডিবি কার্যালয়ে ভাত খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

ডিবি কার্যালয়ে ভাত খাওয়ার এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ভাইরাল হয়েছে। ডিবি কার্যালয়কে ‘ভাতের হোটেল’ বলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে মন্তব্য করেছেন।

তবে এসব মন্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছে ডিবি। ভাতের হোটেলের বিষয়টি মানুষ রসবোধ থেকে বলছে বলে মনে করছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা জানান।

ডিবির ভাতের হোটেল মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ডিবিপ্রধান বলেন, বাঙালি রসবোধের জাতি। বাংলা সাহিত্যে রসবোধ প্রয়োগ কিন্তু আমাদের মানসিক খোরাক জোগায়। আমি মনে করি, এটা রসবোধ প্রবণ একটি বিষয়, যে ডিবি ভাত খাওয়ায়।

তিনি বলেন, আমরা তো আসলে কাউকে ডেকে এনে খাওয়াই না। কেউ যদি কাজের জন্য আমাদের কাছে আসে, তার কাজটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি আর পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে লাঞ্চের অফার করি। তিনি যদি অফার গ্রহণ করেন তাহলে খেয়ে যান।

‘আর আমরা তো ব্রিটিশ পুলিশ না। আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ। একটা সময় থানাতে যেতে মানুষ ভয় পেত। আর এখন আমি একজন ডিআইজি শত শত লোক কোনো না কোনো কাজে আমার কাছে আসছেন। সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসছেন। ’

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সাংবাদিকরাও বলেন ডিবি একটি আস্থার জায়গা। ডিবিতে সকল মানুষের অভিযোগের কথা শোনা হয়। আমি মনে করি, ডিবি যেহেতু একটি আস্থার জায়গা, ডিবিতে সাধারণ মানুষ আসে, আমরা তাদের কাজ করে দিই। আমি মনে করি, এইটা আমাদের একটা দায়িত্ব।

‘আর ডিবি পুলিশ যে মানবিক এটার একটা উদাহরণ হচ্ছে যে, আমরা মানুষকে আপ্যায়ন করি। ইসলাম ধর্মে আছে, কোনো মানুষ যদি কারো বাড়িতে আসে তাকে আপ্যায়ন করতে হয়। আমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ, আমরা যদি কাউকে আপ্যায়ন করি এটা তো খারাপ কিছু না। ’

ডিবিপ্রধান বলেন, যারা রসবোধ থেকে ভাতের হোটেল বলেন তারাও কিন্তু ভালো অর্থে বলেন, খারাপ অর্থে বলেন না। এতে আমরা উৎসাহিত হই। মানুষ আসছে, কাজ করছে এবং খেয়ে যেতে পেরে আমাদের প্রশংসাও করছে। লাঞ্চের টাইমে খেয়ে যেতে পারলে মানুষ খুশি হয়। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করি পাশাপাশি মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষকে আমরা আপ্যায়ন করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
পিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।