ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রবাসীর বাড়িতে ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
প্রবাসীর বাড়িতে ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে রাশেদ মাহমুদ নামে এক সিঙ্গাপুর প্রবাসীর বসতবাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে।  

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঞ্চন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

রাশেদ ওই বাড়ির নুরুল আমিন কাঞ্চনের ছেলে।  

প্রবাসী পরিবারের অভিযোগ, টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে আরেক সিঙ্গাপুর প্রবাসী তারেকের ভাই তাহমিনের নেতৃত্বে হামলাকারীরা তাদের ঘরে ঢুকে চেয়ার, টেবিল এবং আলমারি ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটে করে নিয়ে যায়। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। তাহমিন একই এলাকার জামালের ছেলে।  

প্রবাসী রাশেদের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বলেন, মাগরিবের আযানের পরপরই ছয়জন লোক তাদের ঘরের ভেতর ঢুকে। এসময় ঘরে কোনো পুরুষ ছিল না। তারা তিনজন নারী ও তার শিশুপুত্র ঘরে ছিল।

হামলাকারীরা তার স্বামীকে খোঁজ করতে আসে। কিন্তু আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না। ব্যক্তিগত কাজে সে ঢাকাতে আছে। তাকে না পেয়ে ঘরের আসবাবপত্র ফেলে দেয় এবং টাকা লুটে নেয়। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছি। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  

রাশেদের মা রিপা বেগম বলেন, আমার ছেলে আরেক সিঙ্গাপুর প্রবাসী তারেকের কাছ থেকে টাকা পাবে। কিন্তু সে উল্টো আমার ছেলের কাছ থেকে টাকা দাবি করে তাকে হয়রানি করছে। এর জেরে এ হামলা চালানো হয়েছে।  

মুঠোফোনে রাশেদ মাহমুদ বলেন, আমি আর তারেক একসঙ্গে সিঙ্গাপুরে কাজ করতাম। তারেক আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা ধার নেয়। কিন্তু সে টাকা না দিয়েই দেশে চলে আসে। পরে আমি তার কাছে টাকা চাইলে সে উল্টো আমার কাছে টাকা পাবে বলে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমি আদালতে মামলা করেছি। তারেক আমাকে হয়রানি করছে।  

তিনি আরও বলেন, তারেকের ভাই লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে না পেয়ে বাড়িতে হামলা করেছে। বাড়ির নারীদের লাঞ্ছিত করেছে। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।  

অভিযুক্ত তারেকের ভাই তাহমিন বলেন, ছয়জন নয়, আমরা মাত্র দুইজন রাশেদের খোঁজে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এদিন টাকা লেনদেনের বিষয়ে থানায় বৈঠক ছিল। কিন্তু সে বাড়িতে ছিল না, থানায়ও যায়নি। তাই বাড়িতে গিয়ে রাশেদের খোঁজ নিই। তাদের ঘরেও প্রবেশ করিনি। হামলাও করিনি। আমার ভাই তার কাছে টাকা পাবে। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ তুলছে।

এ বিষয়ে শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইসমাইল বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে প্রবাসী রাশেদের বাড়িতে যাই। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। প্রবাসী পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় পরামর্শ দিয়েছি।  

বাংলাদেশ সময়:১৭১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।