ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধন

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩
বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধন

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন চা বাগানের কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, ভাতা, অবসরজনিত আর্থিক ন্যায্য পাওনা না দেওয়া ও অন্যায় ও অনিয়মতান্তিকভাবে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের (রেজি. নং-বি-২৫১) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেসক্লাবের সামনে বিটিইএসএ আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

এতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদের সভাপতিত্ব করেন ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান।

চা শিল্পে বাগান স্টাফ কর্মচারীদের অধিকার আদায়, সংরক্ষণ ও তাদের সার্বিক কল্যাণে নিয়োজিত বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএসএ) চা বাগানে কর্মরত স্টাফদের অধিকার ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এম. আহমদ টি এন্ড ল্যান্ডস কোং লিমিটেডের মৌলভীবাজার জেলার ৪টিসহ ৮টি চা বাগানে কর্মরত ৯৪ জন কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, ভাতা, অবসরজনিত আর্থিক ন্যায্য পাওনা না দেওয়া ও অন্যায় ও অনিয়মতান্তিকভাবে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করছে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।  

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ-সভাপতি শেখ কাউছার মিয়া, কংকনজ্যোতি ভট্টাচার্য্য, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গঙ্গেশ রঞ্জন দেব, কোষাধ্যক্ষ সুরঞ্জিত দাস, প্রচার ও সমাজ সেবা সম্পাদক ইব্রাহিম মিয়া সোহেল, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রাসেল, আঞ্চলিক প্রতিনিধি অমিম কুমার চাকমা, বদরুল আলম, কামাল হোসেন, এম এ নাসির ও কার্যকরী সদস্য ইয়াকুব মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এম আহমদ টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোং লিমিটেড একটি সুনামধন্য চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে ৮টি চা বাগানে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় চান্দবাগ, আমিনাবাদ, ফুলবাড়ি ও নূরজাহান এই ৪টি চা বাগান রয়েছে। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় ওই কোম্পানির বিভিন্ন চা বাগানে কর্মরত কর্মচারী, এমনকি চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বিভিন্ন আইনি ও ন্যায্য পাওনাদি কোম্পানির কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করতে চায় না। এই সব ন্যায্য পাওনাদি পরিশোধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন টালবাহানায় কালক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ শ্রম আইন ও প্রচলিত নিয়ম-প্রথা ভঙ্গ করা এই কোম্পানির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ওই কোম্পানির কাছে বিভিন্ন চা বাগানের কর্মচারীদের বকেয়া পাওনাদির গ্র্যাচুইটি ২০১২ সাল থেকে ২২ জন, অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিচ্যুত সদস্যের গ্র্যাচুইটি অদ্যাবধি বকেয়া রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৩
বিবিবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।