ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় কবি দুজনেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় কবি দুজনেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন:  সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম দুজনেই অন্যায়-অত্যাচার, শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদাই সোচ্চার ছিলেন বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, অন্যায়-অত্যাচার, শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সর্বদাই সোচ্চার। তারা উভয়ই ছিলেন মানবতাবাদী, সাম্যবাদী দর্শনে বিশ্বাসী। অসম্প্রদায়িক চেতনাকে তারা ধারণ করতেন। ছিলেন স্বাধীন চিত্তের অধিকারী। মানুষের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে তারা ছিলেন আপসহীন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আদর্শ ও চেতনা আমাদের জন্য সর্বদাই অনুকরণীয়, অনুসরণীয় এবং চিরন্তন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার জনগণ তা রুখবেই। জাতীয় কবির শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন সমাধিতে তাকে সমাহিত করা হয়েছে এবং তিনি সেখানেই ঘুমিয়ে আছেন। জাতীয় কবি ঘুমিয়ে থাকুক শান্তিতে, কবি কাজী নজরুল ইসলামের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য আমরা জেগে আছি, জেগে থাকবো।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শোষিত বঞ্চিত নিপীড়িত জনতার কবি, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, বিশ্ব মানবতার কবি বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। জাতীয় কবির সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবির লেখনি থেকে প্রেরণা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও কবি নজরুলের মূল আদর্শই হলো মানুষকে সেবা করা, সাম্যের গান গাওয়া।

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিল খিল কাজী।

আলোচনা সভায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বিশিষ্ট সাংবাদিক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল ও পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. রেজাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ কবির স্মৃতিধন্য কেবিন ১১৭ পরিদর্শন করেন। ১৯৭৫ সালের ২২ জুলাই চিকিৎসকদের পরামর্শে বঙ্গবন্ধু ‘কবিভবন’ থেকে কবিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন আই পিজি এম আর)-এর ১১৭ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করেন। ১ বছর ১ মাস ৮ দিন এ কেবিনে চিকিৎসক ও নার্সদের নিবিড় যত্ন ও সেবা দেওয়া হয় কবিকে। এ ১১৭ নম্বর কেবিনেই বাঙালির পরমপ্রিয় কবির জীবনাবসান ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।