ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অনিশ্চিত জিতু পান্ডের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অনিশ্চিত জিতু পান্ডের

বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার জিতু পান্ডে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার বাকাল নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। হতদরিদ্র বাবার পক্ষে ভালো কলেজে ভর্তি করানোর সাধ্য নেই।

জিতু পান্ডের স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে একজন ডাক্তার হবে। গরীব রোগীদের বিনামূল্য চিকিৎসা দেবে। দারিদ্রতার কারণে তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন এখন অন্ধকারের দিকে।

জিতু পান্ডে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পাকুরিতা গ্রামের দিনমজুর সুশান্ত পান্ডের ছেলে। আমরা দুই ভাই বোনের মধ্যে জিতু সবার বড় এবং ছোট বোন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। মা একজন গৃহিণী।

সুশান্ত পান্ডে বলেন, আমার পরিবারে আমার ছেলে-মেয়েসহ চার জনের পরিবার। আমি দিনমজুরের কাজ করি। আমার আয় দিয়ে, আমার পুরো সংসার চলে। গ্রামের বাড়ি প্রতিদিন কাজ থাকে না। আমার ছেলে এসএসসিতে ভালো ফলাফল করার পরেও আমি অর্থের অভাবে হয়তো তাকে ভালো কলেজে ভর্তি করতে পারবো না। আমার ছেলের স্বপ্ন ডাক্তার হবে কিন্তু আমি তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো না। এটা আমার জন্য দুঃখজনক।

শিক্ষার্থী জিতু পান্ডে জানান, বাবার আয় দিয়ে আমাদের পরিবারের খরচ চালিয়ে আমার লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারতো না। আমার লেখাপড়া একপর্যায়ে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আমিও বাবার মতো অন্যের জমিতে কাজ করে যে টাকা পেতাম সেই টাকা দিয়ে আমার লেখাপড়ার খরচ চালাতাম।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বাকাল নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমার স্বপ্ন একজন ডাক্তার হওয়ার। আমার সেই স্বপ্ন আর পূরণ হবে কিনা জানি না। আমি কীভাবে কলেজে ভর্তি হব সেই চিন্তা করছি।

এব্যাপারে বাকাল নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পুলিন বিহারী জয়ধর জানান, জিতু পান্ডে গরীব পরিবারের একজন মেধাবী ছাত্র। দরিদ্র পরিবারে জন্ম হলেও তার ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমরা যতটুকু পেরেছি স্কুল থেকে তাকে সহযোগিতা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৩
এমএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।