ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পাথরঘাটায় গৃহকর্তাকে কুপিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
পাথরঘাটায় গৃহকর্তাকে কুপিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

পাথরঘাটা (বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় এক বাড়িতে সিঁধ কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্বামী-স্ত্রী বাধা দিলে স্ত্রীর চোখ বেঁধে স্বামী মো. কবির খানকে (৩৮) কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা।

 

গুরুতর আহত কবিরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে।  

রোববার (২৩ জুলাই) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় কবিরের স্ত্রী বিলকিস ও দুই শিশু সন্তান তানভির (১১) ও তামিম (৬) আহত হয়।

কবিরের স্ত্রী বিলকিস বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো রাতে ঘরের সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকে একদল ডাকাত। তারা প্রথমে আমার স্বামীর ঘরে যায়। কিছুক্ষণ পর তার চিৎকার শুনে আমি তার কক্ষে যাওয়া মাত্রই তারা আমার চোখ বেঁধে আমার স্বামীকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আমাকে এবং আমার দুই ছেলেকেও মারধর করে। ডাকাতরা আমাদের বেঁধে ঘরে থাকা নগদ‌ ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, কানের দুল দুই জোড়া, একটি চেইন, একজোড়া হাতের চুরি, হাতের আংটি দুটি, রুপার নূপুর এক জোড়া নিয়ে যায়।  

তিনি আরও বলেন, ঘরের মধ্যে তিনজন লোক ছিল এবং তাদের সঙ্গে ঘরের বাইরেও আরও অনেক লোক ছিল। পরে ডাকাতদল চলে গেলে আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আমার স্বামীকে অজ্ঞান অবস্থায় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই ওখান থেকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ইউনুস মিয়া বলেন, রাত দুইটার দিকে কবিরের স্ত্রীর চিৎকার শুনে আমরা বাপ-বেটা দৌড়ে কবিরের বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি কবির বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।  

কবিরের বাবা ফুল খান বলেন, আমার ছেলেকে এমনভাবে কোপানো হয়েছে জানিনা বাঁচবে কিনা। আমরা আইনের আশ্রয় নেব।

কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পিন্টু মুন্সি বলেন, আমরা ডাকাতির ঘটনা শোনা মাত্রই ওই বাড়িতে গিয়ে ডাকাতির আলামত পেয়েছি। কবিরের মাথা, হাঁটুসহ একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বলেন, আহত ব্যক্তির মাথা, হাঁটুসহ একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে তার অবস্থা গুরুতর। শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) আবু জাফর সালেহ বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরদির্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।